দ্রুত নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা কম কিন্তু আমরা আশা করছি নির্বাচনটা হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে গণতন্ত্র ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত "বর্তমান প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্র, সংস্কার ও বাস্তবতা" শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী এই নির্বাচন কমিশন নির্বাচন দিবেন আশা করছি। ড. ইউনুস বলেছেন নির্বাচন ডিসেম্বর না হলেও জুনের মধ্যে হবে। নির্বাচন খুব তাড়াতাড়ি ওনারা করবেন বলে মনে হচ্ছে না। নির্বাচন দ্রুত দেওয়ার কোনও লক্ষণ আমি দেখি না।
মির্জা আব্বাস বলেন, কয়েকটা দল বলা শুরু করেছে এইটা না হলে নির্বাচন হবে না, ওইটা না হলে নির্বাচন হবে না। যদি এগুলো বলতে থাকে তাহলে নির্বাচন কেমনে হবে! কেউ কেউ আবার বলেই ফেলেছেন যে, আমরা নির্বাচনে যাবো না। আপনারা নির্বাচনে গেলেই কি আর না গেলেই কি! নির্বাচনটা যথাসময়ে হবে, এটা আমরা আশা করতে পারি। খুব দ্রুত নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা কম। কিন্তু, আমি আশা করছি নির্বাচনটা হবে।
তিনি বলেন, আজকে আমাদের যে নির্বাচন ব্যবস্থা এটা কিন্তু ধসে পড়া। এই নির্বাচন ব্যবস্থাকে ড. ইউনুস ঠিক করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু, নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রকার ধোঁয়াসা সৃষ্টি করা যাবে না। যদিও নির্বাচন নিয়ে একটা ধোঁয়াশা সৃষ্টি হচ্ছে।
ড. ইউনুসকে উদ্দেশ্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের কিছু লোক আছে যারা আপনাকে সঠিক রাস্তায় চলতে দিবে না। আপনি দয়া করে এদের কাছ থেকে সাবধানে থাকবেন। আপনার সফলতা আমরা চাই। আপনার সফলতার ওপর নির্ভর করছে আমাদের দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব।
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আমাদের দেশটা এখন খুব খারাপ অবস্থায় আছে। আমাদের দেশের জনগণের, জাতির, দলের প্রত্যেকটা মানুষের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মত-বিরোধ থাকতেই পারে। কিন্তু, যে দলই হোক, বিএনপি-জামায়াত, এনসিপিসহ অন্যান্য সকল দলকে জাতীয় স্বার্থে, দেশের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ার একটিভিস্টদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এদের কাজ হলো দেশের মধ্যে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে রাখা। এদের থেকে আমাদেরকে সাবধান থাকতে হবে। জাতির বিবেক এখনো অন্ধ হয়ে যায়নি।