এনসিপির তিন নারী নেত্রীর মধ্যে রয়েছেন— সৈয়দা নীলিমা দোলা, দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী এবং নীলা আফরোজ। সাংস্কৃতিক নারী ব্যক্তিত্বরা হলেন— উম্মে রায়হানা, উম্মে ফারহানা ও ক্যামেলিয়া শারমিন চূড়া।
বিবৃতিতে বলা হয়, “নারীদের উদ্দেশে প্রকাশ্য সভায় এমন ভাষা ব্যবহার নতুন বাংলাদেশের চেতনার পরিপন্থী। বিশেষত, জুলাই অভ্যুত্থানে নারীর অবদান ছিল ঐতিহাসিক, এ দেশে নারী অবমাননার জায়গা নেই।”
তারা উল্লেখ করেন, “নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে ভিন্নমত থাকতে পারে। কিন্তু যৌনবাচক গালি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি নারীর মর্যাদা, স্বাধীনতা ও লড়াইকে অপমানিত করে।”
নোটিশে আরও প্রশ্ন তোলা হয়, হেফাজতের নেতারা নিজেদের পরিবারে নারী সদস্যদের ইসলামি আইন অনুযায়ী সম্পত্তি দিয়েছেন কি না।
এছাড়াও, হেফাজতের আওয়ামী লীগের সঙ্গে অতীত সংশ্লিষ্টতা এবং একটি রাজনৈতিক দল-ঘেঁষা সংগঠন হিসেবে তাদের প্রকাশ্যে সভা করার বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
এনসিপির নেত্রী নীলিমা দোলা বলেন, “কারও মতভেদ থাকতে পারে, কিন্তু নারীদের নিয়ে এভাবে কথা বলা সরাসরি নিপীড়নের নামান্তর। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং চাই, এই ধরনের আচরণের দায়ে হেফাজতকে জবাবদিহির মুখে পড়তে হবে।”