বৃহস্পতিবার ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
বৃহস্পতিবার ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
মিরপুর-১৪ স্টাফ কোয়ার্টার উচ্ছেদ প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:৪৯ PM

মিরপুর-১৪ সেকশনের স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস বিচ্ছিন্নের মাধ্যমে অযৌক্তিকভাবে উচ্ছেদের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন স্টাফ কোয়ার্টার কর্মচারী কল্যাণ সমিতি। 

গতকাল বুধবার (৩ ডিসেম্বর) এক জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে সমিতির সভাপতি মো. রুহুল আমিন ভূঁইয়া এসব অভিযোগ তুলে ধরে অবিলম্বে উচ্ছেদ প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি জানান।

সমিতি জানায়, ১৮ সেপ্টেম্বর  জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তার মাধ্যমে তাদের জানানো হয় যে, চেয়ারম্যান ২২ সেপ্টেম্বর  সমিতির কয়েকজন প্রতিনিধিকে বৈঠকে ডাকছেন। বৈঠকে উপস্থিত হলে চেয়ারম্যান মৌখিকভাবে বরাদ্দধারীদের বাসা ছাড়ার মানসিক প্রস্তুতি নিতে বলেন এবং মামলা করলে গণপূর্ত সচিব ও অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে তা খারিজ করিয়ে দেওয়া হবে বলে সতর্ক করেন—যা সমিতির মতে ‘স্পষ্ট হুমকি’।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, সমিতির সদস্যরা বিগত ৫০ বছর ধরে সরকারের অনুমোদিত বৈধ বরাদ্দধারী হিসেবে সেখানে বসবাস করছেন। ১১৫২ ফ্ল্যাটের এই প্রকল্পটি মূলত ভাড়া-খরিদ পদ্ধতিতে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রির উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়েছিল। পরে সরকারি কর্মচারীদের জন্য শর্ত পরিবর্তিত হলেও বরাদ্দধারীদের কাছ থেকে মূলধন আদায়ের বিধান বহাল থাকে।

সমিতি আরও জানায়, ইতোমধ্যে ৪৮০টি ফ্ল্যাট প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ৩২টি ফ্ল্যাট বাংলাদেশ পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি ৬৪টি ফ্ল্যাট গৃহসংস্থান বিভাগের নিজস্ব স্টাফ কোয়ার্টার হিসেবে বরাদ্দ রয়েছে। ফলে অবশিষ্ট ৫৭৬টি ফ্ল্যাট বহু বছর ধরেই বর্তমান বরাদ্দধারীদের কাছে বিক্রি বা স্থায়ী বন্দোবস্ত প্রক্রিয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে দপ্তরের বিভিন্ন সভা ও সরকারি সিদ্ধান্তের উল্লেখ করে সমিতি জানায়, ১৯৯৭, ২০০০, ২০১০ এবং ২০১২ সালের বিভিন্ন সভায় ফ্ল্যাটগুলো বরাদ্দধারীদের নিকট বিক্রি/স্থায়ী বন্দোবস্ত প্রদানের সিদ্ধান্ত বারবার গৃহীত হলেও এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি। ২০১২ সালে প্রতিটি ফ্ল্যাটের মূল্যও নির্ধারণ করে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, কিন্তু বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।

সমিতি অভিযোগ করে, কোনো ধরনের লিখিত নোটিশ ছাড়াই ৩০ নভেম্বর ২১টি ভবনকে ‘পরিত্যক্ত’ দেখিয়ে সাইনবোর্ড টাঙানো হয়। দুই দিন পর ৩ ডিসেম্বর পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দল এলাকায় প্রবেশ করলে বাসিন্দারা প্রতিবাদ জানান। সমিতির দাবি, এই উচ্ছেদ প্রচেষ্টা মানবতা বিরোধী, আইনবহির্ভূত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

সমিতি জরুরি ভিত্তিতে উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধ, বরাদ্দধারীদের স্থায়ী বন্দোবস্ত নিশ্চিতকরণ এবং সরকারি সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে।







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৮৪১০১১৯৪৭, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত