ভেড়ামারায় দাঁত তুলতে গিয়ে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে ৯ বছরের শিশু। ডেন্টিস্ট নিহান আহমেদকে (২৬) আটক করে ভেড়ামারা থানা পুলিশ শুক্রবার বিকালে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
অভিযুক্ত নিহান পৌরসভার গোডাউন মোড়ে অবস্থিত রাজশাহী ডেন্টাল কেয়ারের স্বত্বাধিকারী এবং উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের গোলাপনগরের মোস্তাক আহমেদের ছেলে। শিশুটি বাবার সাথে দাঁত উঠাতে গেলে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ তুলেছে শিশুটির পরিবার।
আজ শুক্রবার এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানায় বাদী হয়ে শিশুটির মা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী শিশু ও তার মা-বাবা জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটির বাবা তার দাঁত তুলতে ডেন্টিস্ট নিহানের চেম্বারে নিয়ে যায়। দাঁত তোলা হয়ে গেলে নিহাল তার বাবাকে বাইরে যেতে বলে। এমন সময় সুযোগ বুঝে শিশুটির মুখে সে তার গো'পনাঙ্গ প্রবেশ করায় এবং জোরপূর্বক যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করে।
এসময় নিহান শিশুটিকে চাকু দিয়ে ভয় দেখায়, যাতে সে কাউকে এই ঘটনা না বলে। পরবর্তীতে শিশুটি ডাক্তারের সমস্ত অপকর্ম তার মা-বাবাকে বলে। এ বিষয়ে শুক্রবার ভেড়ামারা থানায় শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করে। শুক্রবার বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মিজানুর রহমান বলেন, ডেন্টিস্ট নিহানের বিরুদ্ধে আনীত যৌনাচারের অভিযোগ শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে সিভিল সার্জনের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ রাকিবুল ইসলাম বলেন, যৌন নিপীড়নের ঘটনাটি জানাজানি হলে পুলিশ গিয়ে ডেন্টিস্ট নিহানকে আটক করে। ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছে।
ভেড়ামারা ডেন্টাল প্র্যাকটিশনার সমিতির সভাপতি ডেন্টিস্ট শহিদুল ইসলাম বলেন, নিহাল কুষ্টিয়া কারিগরি বোর্ডের অধীনে একটি কোর্স করেছে। বিগত এক বছর আগে সে রাজশাহী ডেন্টাল কেয়ার প্রতিষ্ঠানটি দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে একটি বাচ্চা মেয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারও করেছে। এই বিষয়টা নিয়ে আমরা সমিতিতে আলোচনা করব।