সিরাজগঞ্জে অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পৌর এলাকার পুরাতন ভাঙ্গাবাড়ি ও নতুন ভাঙ্গাবাড়ি মহল্লাবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এসময় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। সংঘর্ষের কারণে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করেছে। শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। অভিযানে দেশীয় অস্ত্র, হেলমেট, লাঠিসোঁটা ও লোহার রড উদ্ধার করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন নতুন ভাঙ্গাবাড়ী মহল্লার সালাউদ্দিন (৪০), আব্দুর রহমান (৩২), মারুফ খান (২২), মাসুদ রানা (৫২), জানপুর মহল্লার লিটন সেখ (৪০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত তিন দিন ধরে দুই মহল্লায় সংঘর্ষ ও বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। দফায় দফায় সংঘর্ষে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষ বাহিরগোলা এবং নতুর ভাঙ্গাবাড়ি এলাকার দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে, এবং অনেকে ভয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
স্থানীয় লোকমান হোসেন বলেন, তিনদিন হলো সংঘর্ষ চলছে। বাড়িঘরে হামলা করা হচ্ছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় পড়েছি। দোকানপাট বন্ধ রাখতে হচ্ছে। সেনাবাহিনী না আসলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতো। সেনাবাহিনীর অভিযানের পর পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত হয়েছে।
স্থানীয় ছানোয়ার হোসেন বলেন, বাড়িঘরে বসবাস করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বোতলের মধ্যে পেট্রোল ভরে আগুন দেওয়া হচ্ছে। ভয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। শুক্রবার রাতে সেনাবাহিনীর অভিযানের পর থেকে পরিস্থিত অনেকটাই ভালো হয়েছে।
সেনাবাহিনীর ১১ পদাতিক ডিভিশন সুত্রে জানা যায়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী কাজ করছে। সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান জানান, আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে কাজ করছে।