ভেড়ামারা উপজেলায় স্বামীকে মারধর করে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ রোববার বিকেলে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রব তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—কালু প্রামানিক (৪৬), মুর্শিদ শেখ (৪৫), টিটু মন্ডল ওরফে টিপু (৪২), এজাজুল (৪২) ও রুবেল আলী (২৪)। তাদের বাড়ি ওই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, গত রাত ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে বলে তারা অভিযোগ পেয়েছেন। ইতোমধ্যে এই ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, “প্রতিদিনের মতো রাতে ঈশ্বরদী সড়কের বারোমাইল এলাকার একটি খাবার হোটেলে কাজ শেষে ভ্যানে করে ওই তিনি স্বামীর সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে মসলেমপুর এলাকায় পৌঁছালে কয়েকজন ভ্যানের গতিরোধ করে তাদের টেনে-হিঁচড়ে পার্শ্ববর্তী লিচু বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে স্বামীকে লিচু গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়। এক পর্যায়ে ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের রেখে পালিয়ে যান তারা। সেখান থেকে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে।”
পুলিশ জানায়, রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাদের ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখান প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আবার তাদের থানায় নেওয়া হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে থানায় মামলা করলে রাতেই অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, রাতে এক নারী হোটেল শ্রমিককে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তার শরীরে বাহ্যিক কোনো ক্ষত বা আঘাতের আলামত পাওয়া যায়নি। পরে ওই নারীকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পরিদর্শক (তদন্ত) রকিবুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে। আসামিদের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে সেখানে পুলিশ গিয়েছিল। ওই দম্পতির অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।