তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে শনিবার (২ আগস্ট) রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, রাঙামাটি বিএফডিসি ম্যানেজার কমান্ডার মো. ফয়েজ আল করিম।
হ্রদে চাপিলা, কাঁচকি মাছের সংখ্যায় বেশি তবে আকার ছোট। আশানুরূপ মাছ নেই, হতাশ ব্যবসায়ীরা। হ্রদের পানি কমতে শুরু করলে কার্পজাতীয় মাছ আহরণের পরিমাণ বাড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইতিমধ্যে কাপ্তাই হ্রদের আহরিত মাছগুলো বরফ দিয়ে সংরক্ষণের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পরিবহন যোগে যেতে শুরু করেছে।
রাঙামাটি মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি উদয়ন বড়ুয়া বলেন, এবার বন্ধের শুরু থেকে পর্যাপ্ত বৃষ্টির ফলে কাপ্তাই হ্রদে যথেষ্ট পানি থাকায় মাছ প্রথম থেকেই প্রজনন এবং বড় হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। তাই আশা করছি, শুরুর দিকে এবার পর্যাপ্ত মাছ পাওয়া না গেলেও কয়েকদিন পর থেকে পর্যাপ্ত ছোট বড় মাছ পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।
বিএফডিসির ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. ফয়েজ আল করিম জানান, মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ শুরু হয়েছে। এতে রাঙামাটি, কাপ্তাই, মহলছড়ি, মারিস্যা চারটি অবতরণ কেন্দ্রও খোলা হয়েছে। সকাল থেকে অবতরণ কেন্দ্রগুলোতে মাছ আসছে এবং সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পরিবহনযোগে ইতোমধ্যে যেতে শুরু করেছে। আশা করছি, গত বছর যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে তার চেয়ে বেশি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।
বিএফডিসি সূত্র আরো বলছে, কাপ্তাই হ্রদে কার্পজাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন, অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধির জন্য গত ১ মে থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়। এই সময়ে হ্রদে প্রায় ৬০ মেট্রিক টন কার্পজাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে প্রায় ২৬ হাজার জেলে।