চরভদ্রাসনে ভাউচার বিহীন সার বিক্রি করার দায়ে জাহিদ মোল্লা নামে বিক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রবিবার সন্ধ্যা ৬ টার পরে পরিচালিত এ আদালতের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা খাতুন।
জাহিদ মোল্লা চরভদ্রাসন বাজার এলাকার হাই স্কুল রোড সংলগ্ন মেসার্স মোল্লা স্টোরের সত্ত্বাধীকারী।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান বিন ইসলাম জানান, রবিবার দুপুরের দিকে চরভদ্রাসন বাজারের হাসপাতাল সড়কে একটি নসিমনে করে ওই সার নেওয়ার সময় জব্দ করা হয়। নসিমন চালক জানান, বাজারের খুচরা সার বিক্রেতা জাহিদ মোল্লা নামে এক ব্যবসায়ী এ সার এমপি ডাঙ্গী খেয়াঘাটে পৌঁছে দিতে বলেছেন। তবে তাকে কোন ভাউচার দেওয়া হয়নি।
পরবর্তীতে কৃষি কর্মকর্তা চরভদ্রাসন বাজার এলাকার হাই স্কুল রোড সংলগ্ন মেসার্স মোল্লা স্টোরে গিয়ে জাহিদ মোল্লার কাছে সার বিক্রির ভাউচার দেখতে চান। তবে জাহিদ মোল্লা ভাউচার দেখাতে পারেন নি। ওই সার বিক্রেতার রেজিস্ট্রার খাতা দেখে সেখানে ওই ৫১ বস্তা সার কোন প্রকার এন্ট্রি দেখতে পাননি।
জাহিদ মোল্লা জানান, তিনি চরভদ্রাসন বাজারের সারের ডিলার মেসার্স মোহাম্মদ আলী জিন্না ও মেসার্স শেখ আব্দুস সালাম এর দোকান থেকে ওই সার কিনেছেন। তিনি দাবি করে বলেন, তবে ব্যস্ততার কারণে সার কেনার কোন ভাউচার আনা হয়নি।
তবে জাহিদ মোল্লার এ দাবি নাকচ করে দিয়ে সার বিক্রেতা মোহাম্মদ আলী জিন্না ও শেখ আব্দুস সালাম জানান তারা সার বিক্রির ভাউচার দিয়েছেন।
এরপর ওই কৃষি কর্মকর্তা সারগুলো জাহিদ মোল্লার দোকানে রেখে দোকানটি তাৎক্ষণিক ভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত জাহিদ মোল্লার দোকানে গিয়ে এ আদালত পরিচালনা করে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা খাতুন বলেন, ১৯৫৬ সালের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইনের তিন ধারায় রেজিস্ট্রার না রাখা ও ভাউচার না দেওয়ার অপরাধে জাহিদ মোল্লাকে অভিযুক্ত করে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে তাৎক্ষণিক ভাবে জরিমানার টাকা আদায় করা হয়।