শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম জেলেখালি গ্রামে বারসিকের উদ্যোগে দাতা সংস্থা অক্সফামের সহযোগিতায় জৈব বালাইনাশক, ভার্মি কম্পোস্ট ও জৈব সার প্রস্তুতকরণ বিষয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে এলাকার ১৮ জন যুব, কৃষক, গৃহিণী, এএলসি (এগ্রোইকোলজি লার্নিং সেন্টার) ও শতবাড়ির কৃষিপ্রতিবেশীয় চর্চাকারীরা অংশগ্রহণ করেন।
জেলেখালী কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা শিখন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক পূর্ণিমা বর্মনের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীরা কীটনাশকের বিকল্প নিরাপদ জৈব বালাইনাশক তৈরির পদ্ধতি, ঘরে তৈরি ভার্মি কম্পোস্টের প্রক্রিয়া, মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে জৈব সার ব্যবহারের উপকারিতা এবং টেকসই কৃষি চর্চার বিভিন্ন কৌশল সম্পর্কে হাতে-কলমে শিখতে পারেন। পাশাপাশি নিজ নিজ বাড়ি ও জমিতে জৈব সার উৎপাদন ও ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি ব্যয় কমানো এবং ফসলের গুণগত মান বৃদ্ধির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার বলপন, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর স্বনির্ভরতা বাড়ানো, পরিবেশবান্ধব কৃষি ব্যবস্থার প্রসার এবং রাসায়নিকের ওপর নির্ভরতা কমাতে এই ধরনের নিয়মিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। অংশগ্রহণকারীরাও প্রশিক্ষণকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে জানান, তারা অর্জিত জ্ঞান বাস্তবে প্রয়োগ করে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে ভূমিকা রাখতে চান।
এ সময়ে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারসিক নেত্রকোনা রিসোর্স সেন্টারের সহযোগী আঞ্চলিক সমন্বয়কারী শংকর ম্রং। দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনা সভায় তিনি কেঁচো কম্পোস্ট, জৈবসার, তরল সার, কুইক কম্পোস্ট, সবুজ সার, ফসলের রোগ বালাই দমনে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে জৈববালাইনাশক হাতে কলমে তৈরী করা শেখান। বারসিকের বরষা গাইনের সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি সকলের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে প্রাণবন্ত ভাবে সম্পাদিত হয়।