খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ক্যাম্পাসে আট দিনব্যাপী আয়োজিত ‘বই উৎসব-২০২৫’ জাঁকজমকপূর্ণ সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হয়েছে।
২৩ নভেম্বর রবিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টার প্রাঙ্গণে ‘বই উৎসব-২০২৫’ এর সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে এবং আশফিয়া লাইব্রেরি খুলনার সহযোগিতায় জ্ঞানচর্চা ও সৃজনশীলতার বিকাশকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে গত ১৬ নভেম্বর উৎসবটির উদ্বোধন করা হয়।এই আয়োজনে দেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন প্রকাশনী সংস্থা অংশগ্রহণ করেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মাকসুদ হেলালী। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বই হলো জ্ঞানের চাবিকাঠি। এই উৎসব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নতুন একটি ঐতিহ্যের সূচনা করেছে। প্রথমবারের মতো এত বড় পরিসরে এই বই উৎসব আয়োজনের মূল লক্ষ্যই ছিলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠাভ্যাস তৈরি করা এবং মননশীল সমাজ গঠনে অনুপ্রেরণা দেওয়া। আমরা সফলভাবে এই লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছি বলে বিশ্বাস করি এবং ভবিষ্যতেও বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের জ্ঞানভিত্তিক ধারা অব্যাহত থাকবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আনিছুর রহমান ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) প্রফেসর ড. বি. এম. ইকরামুল হক। তিনি আয়োজনের সফলতা তুলে ধরে বলেন, অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন প্রকাশনী সংস্থা ও শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। এটিকে একটি নিয়মিত আয়োজনে রূপ দিতে পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) কার্যালয় সর্বদা সচেষ্ট থাকবে।
অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ ও সভাপতি অংশগ্রহণকারী সকল প্রকাশনী সংস্থার প্রতিনিধিদের হাতে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উৎসবের উল্লেখযোগ্য দিক ছিলো নামকরা প্রকাশনী সংস্থা তাদের বিভিন্ন বিভাগের বই নিয়ে এ উৎসবে অংশগ্রহণ করে। বিশেষ করে, প্রযুক্তি, সাহিত্য, বিজ্ঞান এবং গবেষণামূলক বইগুলিতে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো। ‘বই উৎসব-২০২৫’ সফলভাবে সমাপ্ত হওয়ায় অংশগ্রহণকারী সকল প্রকাশনী সংস্থা, শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ)।