ইটভাটা মালিকদের দাবি, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবেশবান্ধব জিগজ্যাগ প্রযুক্তির ভাটা স্থাপন করলেও বৈধ প্রতিষ্ঠানগুলো অযৌক্তিক জরিমানা ও হয়রানির শিকার হচ্ছে। তারা জানান, জিগজ্যাগ প্রযুক্তি জ্বালানি সাশ্রয়ী ও কম দূষণকারী হওয়ায় উপমহাদেশে এটি স্বীকৃত টেকসই প্রযুক্তি।
বাংলাদেশে প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক সরাসরি ইটভাটায় কাজ করেন, আর এই খাতের ওপর নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা প্রায় ২ কোটি। মালিকরা বলেন, ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেলে বিপুলসংখ্যক শ্রমিক বেকার হবে এবং প্রতিটি ভাটার বিপরীতে থাকা ব্যাংক ঋণ অনাদায়ী হয়ে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে।
এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ছয় দফা দাবি উপস্থাপন করে—
ছয় দফা দাবি হলো-
১. লাইসেন্স সংক্রান্ত দূরত্ব কমানো:
নিষিদ্ধ এলাকার দূরত্ব ১০০০ মিটার থেকে ৪০০ মিটার করা
বনাঞ্চলের দূরত্ব ৭০০ মিটার নির্ধারণ
২. জিগজ্যাগ ভাটায় হয়রানি বন্ধ:
বৈধ ভাটায় মোবাইল কোর্ট, জরিমানা ও ভাংচুর বন্ধের দাবি।
৩. ভাটা বন্ধ হলে ক্ষতিপূরণ:
সরকার যদি কোনো ভাটা বন্ধ করে তবে পর্যাপ্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে।
৪. লাইসেন্স নবায়নে সমিতির প্রত্যয়ন বাধ্যতামূলক:
পরিবেশ ছাড়পত্র, ডিসি লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্সসহ সব নবায়নে জাতীয় সমিতির প্রত্যয়ন বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব।
৫. ইটভাটাকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা:
ইটভাটাকে আনুষ্ঠানিকভাবে “শিল্প” খাতের মর্যাদা দিতে হবে।
৬. দীর্ঘমেয়াদি নীতিমালা প্রণয়ন:
ভাটা পরিচালনায় স্থায়ী, সুস্পষ্ট ও দীর্ঘমেয়াদি নীতিমালা প্রণয়নের দাবি।
বাংলাদেশ ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফিরোজ হায়দার খান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এসব দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান এবং শিল্পটির স্থিতিশীলতার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন।