পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বানৌজা শের–ই–বাংলা প্যারেড গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বি/২০২৫ ব্যাচের নবীন নাবিকদের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় আয়োজিত এ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান, এনডিসি, এনএপি, এনএলএম, এনবিএসসি, পিএসসি।
নৌবাহিনী প্রধানের বিশেষ আমন্ত্রণে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। তিনি বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক পর্বে অংশ নেন এবং সামরিক–বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী সদর দপ্তরের পিএসও, উচ্চপদস্থ সামরিক–বেসামরিক কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও নবীন নাবিকদের অভিভাবকরা।
অনুষ্ঠানে এডমিরাল এম নাজমুল হাসান জানান, ২২ সপ্তাহের কঠোর প্রশিক্ষণ নবীন নাবিকদের আত্মবিশ্বাস, শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্বে সমৃদ্ধ করেছে। তিনি প্রশিক্ষকদের নিষ্ঠা ও ঘাঁটির অবকাঠামোগত সক্ষমতার প্রশংসা করে নবীন নাবিকদের দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, নৌবাহিনীর আধুনিক প্রশিক্ষণব্যবস্থা ও প্রযুক্তিনির্ভর সক্ষমতা অনুকরণীয়।
তিনি আরো বলেন, পবিপ্রবি ও নৌবাহিনীর মধ্যে প্রযুক্তি, গবেষণা, উচ্চশিক্ষা ও সামুদ্রিক নিরাপত্তা–সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে সহযোগিতার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
কুচকাওয়াজ শেষে পবিপ্রবি উপাচার্য নৌবাহিনী প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। আলোচনায় যৌথ গবেষণা, একাডেমিক সহযোগিতা, প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং সমুদ্রভিত্তিক উচ্চশিক্ষায় সমন্বয়ের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। তিনি পরে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিয়ে দুপুরে ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১২ জুলাই ৫১৫ একর জমিতে প্রতিষ্ঠিত বানৌজা শের–ই–বাংলা নৌঘাঁটি দেশের সবচেয়ে বড় নৌঘাঁটি হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। এখন পর্যন্ত পাঁচটি ব্যাচ এখানে সফলভাবে বুটক্যাম্প প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে।