পঞ্চগড়ে চলতি শীত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে তেঁতুলিয়ায়। শনিবার সকালে তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। যা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরে নেয়া যায় বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
এদিকে বইতে শুরু করেছে উত্তরীয় হিম বাতাস। কমতে শুরু করেছে সূর্যের তেজ। গত সাতদিন ধরে সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে ১১-১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। গতকাল শুক্রবারও সেখানে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তবে এই কয়েকদিন ধরে সকাল থেকে ঝলমলে রোদের দেখা মেলায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে ২৬-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসার কারণে আগের চেয়ে তুলনামূলকভাবে একটু বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। এর আগে গত সপ্তাহে রোববার (৩০ নভেম্বর) ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শনিবার (২৯ নভেম্বর) ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ১৩.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার (২৬ নভেম্বর) ১২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এই কয়দিন আকাশে মেঘের আনাগোনা থাকায় সূর্যের প্রখরতা ছিল অনেকটাই কম। বিকেল তিনটায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জীতেন্দ্র নাথ রায় জানান, গত কয়েকদিন ধরেই তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও কমতে শুরু করেছে। চলতি মাসে একাধিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দিনের বেশিরভাগ সময়ই কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে থাকার কারণে সূর্যের আলো ভূপৃষ্টে কমে আসায় দিনের বেলাতেও হালকা শীত অনুভূত হচ্ছে। সন্ধার পর পরেই গ্রামের হাট বাজার গুলো ফাঁকা হয়ে পড়ছে মানুষ হয়ে পড়ছে ঘরমুখী। এদিকে শীত জনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু এবং বয়স্করা হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলায় প্রায় ৮ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আরো ৬৫ হাজার অসহায় শীতার্ত মানুষের জন্যে শীতবস্ত্র চেয়ে মন্ত্রনালয়ে বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক কাজী মো. সায়েমুজ্জামান।