শুক্রবার ১১ জুলাই ২০২৫ ২৭ আষাঢ় ১৪৩২
শুক্রবার ১১ জুলাই ২০২৫
মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা, স্বপ্নযুদ্ধে শেখ হাসিনা
এস এম রাকিব সিরাজী
প্রকাশ: শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২২, ৫:৫৫ PM
(শেখ হাসিনা আজও প্রতি মুহূর্তে লড়ে চলেছেন এক নতুন যুদ্ধে, দেশের স্বার্থে ও সাধারণ মানুষের স্বার্থে তথা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের স্বার্থে স্বপ্নযুদ্ধে। এই স্বপ্নযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক দেশরত্ন শেখ হাসিনা। আর এজন্যই তিনি অজেয় পিতার অপরাজেয় কন্যা, মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা আর স্বপ্নযুদ্ধে শেখ হাসিনা)
শুরু এখান থেকে :

শত-সহস্র বছরের মানবজাতির ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করলে এটিই স্পষ্ট হয় যেকোনো যুদ্ধ কিংবা সংকট মোকাবিলা অথবা সফলতা অর্জনের স্বপ্নে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কোনো জাতির আর কিছু থাকুক বা না থাকুক, দরকার একজন যোগ্য দক্ষ ও ভবিষ্যৎদর্শী নেতৃত্ব ।

এই ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতায় যুগে যুগে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সংকটে-সংগ্রামে আবির্ভূত হয়েছেন অসংখ্য মহাপুরুষ। এই মহাপুরুষদের সাফল্য অর্জনের পেছনে মূলত দুইটি বৈশিষ্ট্য কাজ করেছে। প্রথমত, অসাধারণ ও আকর্ষণীয় নেতৃত্ব দক্ষতা। দ্বিতীয়ত, আশাবাদী ও ভবিষ্যতদর্শী মানসিকতা থেকে জনগোষ্ঠীর সামগ্রিক স্বপ্নকে নিজের স্বপ্ন হিসেবে কল্পনা করার বিরল সক্ষমতা।

সমকালীন বিশ্বের অন্যতম আলোচিত বিশ্বনেতা ছিলেন নেলসন মেন্ডেলা। নেলসন ম্যান্ডেলাকে ১৯৬৪ সালের ২০ এপ্রিল রিভোনিয়া ট্রাইবুনালের বিচারের জন্য প্রিটোরিয়া সুপ্রিমকোর্টে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হল। আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে দেওয়া ম্যান্ডেলার সুদীর্ঘ ৩ ঘন্টার বক্তৃতার সর্বশেষ কথাটি ছিল  I am prepared to die। নেলসন ম্যান্ডেলা মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য তাঁর সমস্ত সংগ্রামের কথা স্বীকার করে বলেছিলেন মানুষের জন্য করা আমার এই আদর্শিক সংগ্রাম যদি আদালতের চোখে অপরাধ হয়, তাহলে আদালতের উদ্দেশ্যে আমার শেষ কথা হচ্ছে এটি এমনই এক আদর্শ যার জন্য আমি মরতে প্রস্তুত ।

স্মরণকালের বিশ্ব রাজনৈতিক ইতিহাসের আরেক অবিসংবাদিত নাম মার্টিন লুথার কিং। যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের মূল স্ফূলিঙ্গ হিসেবে কাজ করেন বিখ্যাত মানবাধিকার নেতা মার্টিন লুথার কিং। আন্দোলনের নানা পর্যায়ে গ্রেফতার হোন বারংবার। এক পর্যায়ে, ১৯৬৩ সালে ২৭ আগস্ট প্রায় আড়াই লাখর বেশি জনসাধারণের সামনে ঐতিহাসিক ভাষণ দিলেন কিং ‘আমার একটি স্বপ্ন আছে’ (আই হ্যাভ আ ড্রিম)। ভাষণে তিনি বলেন, কীভাবে বর্ণবৈষম্যের কড়ালগ্রাসে গোটা জাতি কীভাবে ধ্বংসের মুখে পতিত হচ্ছে সে বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি সকলের জন্য সমান আমেরকার স্বপ্নকে সকল অধিকারহীন কৃষ্ণাঙ্গের স্বপ্নকে নিজের স্বপ্ন হিসেবে দেখেন। যার ফলে তার প্রচেষ্টায়ই সামগ্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে অবশেষে অর্জিত হয় আমেরিকার নাগরিকত্ব আইন ।

জর্জ ওয়াশিংটন, নেলসন ম্যান্ডেলা, মহাত্মা গান্ধী, মার্টিন লুথার কিংদের মত অসংখ্য নেতা যুগে যুগে একেকটি জাতির কাণ্ডারী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন, ঠিক যেমন বাঙালি জাতির কাণ্ডারী হিসেবে আবির্ভুত হয়েছিলেন বাঙালির ইতিহাসের অবিসংবাদিত মহাপুরুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধু জন্মগ্রহণ করেন এক অনন্য  সাধারণ বাঙালি পরিবারে। ছোটবেলা থেকেই তার মধ্যে যেমন ছিল স্বভাবসুলভ নেতৃত্বের চেতনা আর একই সাথে সাধারণ মানুষের স্বপ্নকে সকলের স্বপ্ন হিসেবে দেখার প্রচেষ্টা। কিশোর বয়সে, স্কুলের সমস্যাগুলো তুলে ধরতে গিয়ে মুজিব বিন্দুমাত্র দ্বিধান্বিত হননি বরং সাহসের সাথে নিজের সমস্যাগুলো তুলে ধরেন তৎকালীন বাংলার নেতা শেরে বাংলা ও সোহরাওয়ার্দীর সামনে। ধাপে ধাপে তিনি হয়ে উঠেন পূর্ববাংলার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মুখপাত্র জনসাধারণের মুক্তির স্বার্থে, সক্রিয়ভাবে অংশ নেন পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে। পরবর্তীতে যখন দেখেন পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের যে স্বার্থ তিনি নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন তা করা সম্ভব না; ফলে তিনি আবার সেই দেশের মধ্যে আবার বাঙালির অধিকার আদায়ে সোচ্চার হোন। ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদানের মাধ্যমে এককভাবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন বঙ্গবন্ধু। রাষ্ট্রভাষা আদায় ও রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করার গ্রেপ্তার হতে হয় তাকে। ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বঙ্গবন্ধু আন্দোলনের সমর্থন জানিয়ে জেলখানায় অনশন শুরু করেন। ২১ ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে, ১৯৫২ সালে একটানা ১৭ দিন অনশন অব্যাহত রাখেন পাশাপাশি দিকনির্দেশনা প্রদান করতে থাকেন আন্দোলনকারীদের; ফলশ্রুতিতে তাকে ঢাকা জেলখানা থেকে ফরিদপুর জেলে সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপর একইভাবে জাতির প্রয়োজনে দেন ছয় দফা ও এগারো দফা। তাকে কেন্দ্র করেই সংগঠিত হয় ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান। সত্তরের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি জাতি নির্বাচনে ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগকে জেতানোর মধ্য দিয়ে দেশের ভবিষ্যতে তাকে নির্বাচিত করে। যদি ও একের পর এক ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে টালমাটাল হতে থাকে। অবশেষে বঙ্গবন্ধু অনুধাবন করতে পারেন পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত থেকে বাঙালি জাতির অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। ফলশ্রুতিতে একাত্তরের ৭ মার্চের ভাষণে সাধারণ মানুষের স্বপ্নের বাস্তবায়নের নিমিত্তে তিনি স্বাধীনতার রূপরেখা প্রদান করেন। তিনি ঘোষণা করেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ ২৫ মার্চ বাঙালি জাতির উপর বর্ববরতা শুরু হয়। তার আগেই বঙ্গবন্ধু সস্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। পাকিস্তানি কারাগারে একক বঙ্গবন্ধুকে মানসিকভাবে দুর্বল করার জন্য একক একটি প্রকোষ্ঠে রাখা হয়। এরপর বারো দফা অভিযোগ এনে বিচারের মুখোমুখি করা হয় বঙ্গবন্ধুকে। তবে বিন্দুমাত্র বিচলিত না হয়ে বিচারকের সামনে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘জনাব বিচারপতি, দয়া করে আমাকে সমর্থনকারী উকিল সাহেবদের যেতে বলুন। আপনারা জানেন, এ হচ্ছে এক গোপন বিচার। আমি বেসামরিক লোক। আমি সামরিক লোক নই। আর এরা করছে আমার কোর্টমার্শাল! ইয়াহিয়া খানকে বল যে প্রেসিডেন্ট, তা নয়। তিনি প্রধান সামরিক শাসকও। এ বিচারের রায়ের অনুমোদনের কর্তা তিনি। এই আদালত গঠন করেছেন তিনি।’

স্বাধীনতার পর দেশে ফিরে এসে বঙ্গবন্ধু সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্টকে সাক্ষাৎকাওে বলেন, ‘আমি ইচ্ছা করলে যেকোনো জায়গায় যেতে পারতাম। কিন্তু আমার দেশবাসীকে পরিত্যাগ করে আমি কেমন করে যাব? আমি তাদের নেতা। আমি সংগ্রাম করব। মৃত্যুবরণ করব। পালিয়ে কেন যাব? দেশবাসীর কাছে আমার আহ্বান ছিল তোমরা প্রতিরোধ গড়ে তোল।’

বিজয় অর্জনের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় মাত্র এক বছরেই কার্যকর হয় দেশর সংবিধান। যেখানে প্রস্ফুটিত হয় সাধারণ মানুষের স্বপ্ন ও আশা। একে একে প্রশাসনিক ব্যবস্থার পুনর্গঠন, সংবিধান প্রণয়ন, এক কোটি মানুষের পুনর্বাসন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, শিক্ষা ব্যবস্থার সম্প্রসারণ, শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক স্কুল পর্যন্ত বিনামূল্যে এবং মাধ্যমিক শ্রেণি পর্যন্ত নামমাত্র মূল্যে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহসহ একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ সব পরিবর্তন আনার মাধ্যমে দেশে একের পর এক ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি অনুধাবন করতে পারেন কেনে দেশের দীর্ঘমেয়াদি ও কার্যকর পরিবর্তন আনার জন্য দ্বিতীয় বিপ্লবের সূচনা জরুরি। দেশে সার্বিক কল্যাণের চিন্তায় যাত্রা শুরু হয় বাকশালের।

তবে, সাধারণ মানুষের যে স্বপ্নকে বঙ্গবন্ধু ধারণ করেছিলেন শেষমেষ স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে তার আংশিক বাস্তবায়নের সুযোগ পেলেও সার্বিক বাস্তবায়নে স্বপ্ন সার্থকতা করে স্বপ্নের সোনার বাঙলার বস্তবায়ন আর দেখে যেতে পারলেন না বঙ্গবন্ধু। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভোরে সেনাবাহিনীর কতিপয় উচ্চাভিলাষী অফিসার বিশ্বাসঘাতকের হাতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বাংলাদেশের স্থপতি বাঙালি জাতির পিতা স্বপরিবারে নিহত হন। তবে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সেই শোকাবহ দিনে বিদেশ থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

১৭ মে ১৯৮১ সালে ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নিরবচ্ছিন্ন দীর্ঘ স্বপ্ন-সংগ্রাম শুরু হয়। এই সংগ্রাম একদিকে ছিলো জাতির পিতার মুক্তির সংগ্রামের অর্জন টিকিয়ে রাখা; অন্যদিকে অসমাপ্ত সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার যুদ্ধে এগিয়ে যাওয়া। দেশে ফিরে আসা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন করে গুছিয়ে ওঠা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তৎকালীন সামরিক জান্তা ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে টানা ষোলো বছর অকুতোভয় সংগ্রামের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার নব্বইয়ের বাঙালির আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফলে দেশে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয় জনসাধারণের মতামত প্রকাশের অধিকার। পঁচাত্তরে ভেঙে পরা দলের কাঠামোকে তৃণমূল পর্যায়ে গিয়ে কাজ করার মাধ্যমে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন শেখ হাসিনা। দল পুনরুজ্জীবিত হয় বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ও স্বপ্নে ।

অবশেষে ছিয়ানব্বইয়ে নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমে পুনঃরায় দেশের দায়িত্বে ও ক্ষমতায় ফিরে আসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। প্রতি বার ক্ষমতা আসার পর জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রধান উদ্দেশ্য হিসেবে কাজ করে স্বপ্নের সোনার বাংলার দিকে এগিয়ে যাওয়া। পরবর্তীতে দুই হাজার সালের শুরুর দিকে পুনরায় দেশের ক্ষমতা চলে যায় বিএনপি-জামাত জোটের হাতে। বাড়তে থাকে সকল প্রকারের অনিয়ম ও দুর্নীতি; খাম্বাকাণ্ড কিংবা নাইকো দুর্নীতির মতো ঘটনাগুলো হয়ে দাড়ায় নিত্তনৈমিত্তিক ব্যাপার। জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের কড়ালগ্রাস আঘাত করে বাঙালির অসাম্প্রদায়িক সামাজিক সংস্কৃতিতে। এর ফলশ্রুতিতে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে এক-এগারোর নামে ক্ষমতা আবার চলে যায় ক্যান্টোনমেন্টে। আবার ক্ষুণ্ন হয় মানষেুষের গনতান্ত্রিক অধিকার। দেশকে বিরাজনীতিকরণের উদ্দেশ্যে কারাবন্দি করা হয় জননেত্রীকে। তবে, শত বাঁধা পেরিয়ে নয় সালের নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ক্ষমতায় আসে। মাত্র দশ বছরের মতো সময়ে একে একে ঘরে-ঘরে পৌঁছে যায় বিদ্যুৎ-ইন্টারনেট সেবা, সারাদেশ সংযক্ত হয় সড়ক পথে, বঙ্গবন্ধুর খুনি ও একাত্তরের মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য তিনি সফলভাবে সম্পন্ন হয়, দেশে বিনামূল্যে বই শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া সহ নানা যুগান্তকারী পদক্ষেপ আসে শিক্ষা ক্ষেত্রে, বাস্তবায়িত হয় মেট্রোরেল-পদ্মা সেতুর মতো একের পর এক সব সাহসী পদক্ষেপ, সফলতার সাথে একটি তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে করোনার ভয়াবহতা সফলতার সাথে মোকাবিলা করে বাংলাদেশ। সংগ্রামমুখর জীবনে শেখ হাসিনা ছিলেন তার পিতার অপূর্ণ স্বপ্ন বাস্তবায়নে অবিচল। গৃহবন্দি থেকেছেন মুক্তিযুদ্ধের পুরো ৯ মাসজুড়ে। সামরিক স্বৈরশাসনামলে ও বেশ কয়েকবার তাকে কারানির্যাতন ভোগ ও গৃহবন্দি থাকতে হয়েছে। অন্তত ১৯ বার তাকে হত্যার অপচেষ্টার সম্মুখীন হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও তিনি অসীম সাহসে তার লক্ষ্য অর্জনে থেকেছেন অবিচল। বঙ্গবন্ধুর হাতে স্বাধীনতা যুদ্ধে সদ্য বিজিত, নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রামে অবিচল, তলাবিহীন ঝুঁড়ি হিসেবে বিশ্বের কাছে পরিচিত একটি দেশকে আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বমঞ্চে মাথা তুলে দাঁড়াবার সাহস দিয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন নীতি মালা আজ পুরো বশ্ব দরবারে অনুসরণীয় রোল মডেল।

শেখ হাসিনা আজও প্রতি মুহূর্তে লড়ে চলেছেন এক নতুন যুদ্ধে, দেশের স্বার্থে ও সাধারণ মানুষের স্বার্থে তথা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের স্বার্থে স্বপ্নযুদ্ধে। এই স্বপ্নযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক দেশরত্ন শেখ হাসিনা। আর এজন্যই তিনি অজেয় পিতার অপরাজেয় কন্যা, মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা আর স্বপ্নযুদ্ধে শেখ হাসিনা। 

লেখক : সহ-সম্পাদক. বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ 

বাবু/এসআর
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত