কক্সবাজার পৌরসভার নাজিরারটেক ফিশিং বোট থেকে খালাসের সময় ইয়াবার বিশাল একটি চালান লুট হয়েছে। কয়েকটি সূত্রের দেয়া তথ্যমতে লুট হওয়া চালানে প্রায় তিন কোটি টাকার ইয়াবা ছিল।
এ ঘটনা নিয়ে পুরো শহরজুড়ে তোলপাড় চলছে। গত ২২ডিসেম্বর ভোর রাতে ইয়াবা লুটের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের মতে, এক লাখ বা দেড় লাখ পিচ যা-ই হোক না কেন, ইয়াবা লুটের ৯দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কোনো কূল-কিনারা খুঁজে পায়নি।
তবে অনেকের দাবি, পুলিশ সবকিছু জেনেও চুপ হয়ে আছে। পুলিশের এমন রহস্যজনক আচরণ কাজে লাগিয়ে এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে ইয়াবা লুটে জড়িত অনেকেই।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি রফিক বলেন, ইয়াবা লুটের বিষয়ে অভিযোগ পেলেই তদন্ত করেই নেয়া হবে ব্যবস্থা৷
সূত্রমতে, গত ২২ ডিসেম্বর কক্সবাজার পৌরসভার নাজিরারটেক এলাস্থ ফিশিং বোট থেকে একটি বিশাল চালান খালাস হয়। ইয়াবার চালানটি কূলে তোলার সময় মধ্যমকুতুবদিয়া পাড়া এলাকার আব্দুল খালেক এর ছেলে আরমানের নেতৃত্বে তার বাহিনী ইয়াবা চালানটি লুট করে।
আরমানের নেতৃত্বে তার বাহিনীতে ওই সময় ছিল সাবেক পুলিশ এবং র্যাবের সোর্স সমিতি পাড়ার মিজান, উত্তর কুতুবদিয়া পাড়ার আলমগীরসহ আরও কয়েকজন।
এ দিকে ইয়াবা লুটের সময় ইয়াবার মালিক ও তাদের পার্টনারদের সঙ্গে লুটকারি আরমান বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে অস্ত্রের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয় ইয়াবার মালিকরা।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, মায়ানমার থেকে ইয়াবার এই বিশাল চালানটি বঙ্গোপসাগর হয়ে নাজিরারটেক মোহনায় আসলে খালাস হওয়ার সময় এ বিশাল চালানটি পূর্বের সংবাদ অনুযায়ী আরমান বাহিনী লুট করে৷
সূত্র জানিয়েছে, এই চালান ছাড়াও আরও বেশ কয়েকবার এই ঘাট দিয়ে ইয়াবা চালান শহরে ডুকে৷
গোপন সূত্রে জানা যায়, প্রতিবার নিরাপদে ইয়াবা পাচার হলেও এবার আরমান বাহিনীর কারণে লুটের ঘটনা ঘটে।
ইয়াবা লুটের ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী কয়েকটি বাড়ির মালিকরা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান, ভোর রাতে এত বড় ইয়াবার চালান লুটের পর এখনও অপরাধীরা ধরা পড়েনি। যা হাস্যকর।
স্থানীয় ব্যবসায়ী খালিদ হোসেন জানান, পুলিশ চাইলে সব পারে। কিন্তু এটা কেন পারছে না। মনে হয় থানা পুলিশ ইয়াবা উদ্ধার ও ইয়াবা লুটকারিদের ধরতে চাইছে না।
স্থানীয়দের মতে, ইয়াবা লুটে নেতৃত্ব দেয়া আরমান রাজনীতির আড়ালে প্রকৃত করে ইয়াবা ব্যবসা৷ ইয়াবা ছিনতাই করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন আরমান। বানিয়েছেন অপরাধের সাম্রাজ্য।
ইয়াবা লুটের বিষয়ে আরমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি যেহেতু রাজনীতির সাথে ছোট কাল থেকে জড়িত৷ সেটা এলাকার কিছু মানুষের সজ্য হয়না৷
আরমান বলেন, লুটের ঘটনা সঠিক৷ কিন্তু আমি করেনি৷ কারা জড়িত আমি নিজেও তাদের সনাক্ত করতে চেষ্টায় আছি৷
ইয়াবা লুটকারি আরেকজন মিজানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি পুলিশ এবং র্যাবের সোর্সাছিলাম এক সময়৷ কিন্তু সন্তান বড় হওয়ায় এ কাজ করতে নিজের লজ্জা লাগে৷ আমি ইয়াবা লুট করেনি৷ তবে ইয়াবা লুটের বিষয়টি এলাকায় সবায় জানে৷
কক্সবাজার পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ইয়াবা লুটের ঘটনা টি এখনো অবগত নয় পুলিশ৷ যেহেতু ইয়াবা মরণ একটি পেশা৷ এর চেয়ে বড় অপরাধ আর নেই৷ অভিযোগ পেলেই তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷
-বাবু/এ.এস