সোমবার ৩০ জুন ২০২৫ ১৬ আষাঢ় ১৪৩২
সোমবার ৩০ জুন ২০২৫
আখাউড়া-চান্দুরা সড়কের বুকে খানাখন্দে ভরা
আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: রবিবার, ১ জানুয়ারি, ২০২৩, ৬:১৫ PM
সড়কের নাম আখাউড়া-চান্দুরা সড়ক। শুধু নামেই সড়ক। এ সড়কের যে বেহাল দশা দেখলে মনেই হবে না যেন এটি একটি সড়ক। এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে গিয়ে ছোট বড় গর্ত আর খানা খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এই পথেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন গুলো চলছে ধীর গতিতে। বৃষ্টি হলেই পানি জমে ওইসব গর্ত থেকে ডোবায় পরিণত হয়েছে। গর্তে পানি জমে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। তখন জনদুর্ভোগ বেড়ে যায়। এতে দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। 

জানাগেছে, আখাউড়া-চান্দুরা সড়কটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে। আখাউড়া-চান্দুরা সড়কের আখাউড়া পৌরশহরের সড়ক বাজার থেকে সিঙ্গারবিল বাজারের ব্রিজ পর্যন্ত সাড়ে ৫ কিলোমিটার। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ৫টি ও আখাউড়ার একটি পৌরসভাসহ একটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা এ সড়কটি। এ সড়ক দিয়ে ওইসব ইউনিয়নের বাসিন্দারা জেলা সদরে আসা যাওয়া করে থাকেন। সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের চান্দুরা থেকে কুমিল্লা গিয়ে মিশেছে এ সড়কটি। এ সড়কটি বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। প্রতিদিন প্রায় হাজার খানেক যানবাহন চলাচল করছে এ পথে। সড়কের মাঝ খানে সৃষ্টি হয় বড় বড় গর্ত। 

রোববার সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে এ সড়কের খুবই করুণ। আখাউড়া-চান্দুরা সড়কের আখাউড়া পৌরশহরের সড়ক থেকে সিঙ্গারবিল বাজারের ব্রিজ পর্যন্ত সাড়ে ৫ কিলোমিটার কিলোমিটারে সড়কে প্রায় ৫ হাজার ছোট বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এক একটি গর্ত যে এক একটি মরণ ফাঁদ। কিছু কিছু অংশ দেখে বোঝার উপায় নেই যে, এটা সড়ক। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া এ পথে কেউ চলাচল করছে না। কারণ ১০ মিনিটের রাস্তা পাড়ি দিতে সময় লাগছে আধা ঘন্টা। আর ঝুঁকি তো রয়েছেই। উপজেলার আমোদাবাদের উজ্জ্বল মিয়া আখাউড়া শহরে একটি ফার্মেসী রয়েছে তার। সে প্রতিদিন বাড়ি থেকে আসা যাওয়া করে থাকেন। তিনি বলেন সিএনজি বা অটোরিক্সা দিয়ে চলাচল করতে হয়। রাস্তা খারাপ হওয়ায় প্রায় সময়ই পায়ে হেটে আসা যাওয়া করি। 

আখাউড়ার সিএনজি চালক ওয়াসিম মিয়া বলেন, বেশী দরকার না হলে কেউ এ সড়কে চলাচল করে না। আমরা সিএনজি চালকও পেটের দায়ে জীবনডা হাতে নিয়া গাড়ি চালাই। বেশী ঝাঁকুনির লাগার কারণে রাতে শরীর বিষ ব্যথা করে। ভাঙাচুরা সড়কের জন্য গাড়ির বারটা বাইজা যায়। আখাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম সুমন সড়কটির দুরাবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, এ প্রকল্পের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে এ সড়কের মেরামত কাজ শুরু হবে।

বাবু/জেএম
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত