মৃত্যু এক অনিবার্য সত্য। দুনিয়াতে সব প্রাণিকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। পবিত্র কুরআনেও এ বিষয়ে অবতারণা করেছেন আল্লাহ তায়ালা। তবে প্রত্যেক প্রাণির জন্য মৃত্যুর সময় নির্দিষ্ট করা আছে।
কেউ ঋণ করার পর তা পরিশোধ না করলে পরকালে আল্লাহর দরবারে তাকে জবাবদিহিতা ও বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘ঋণ পরিশোধ করা ছাড়া মারা গেলে হাশরের ময়দানে নিজের নেকি থেকে ঋণের দাবি পূরণ করতে হবে।’ (সহিহ বুখারি : ২৪৪৯)
ঋণ নিয়ে কোনো ব্যক্তি যদি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয় এবং ঋণ প্রদানকারী ব্যক্তি যদি সেই ব্যক্তিকে মাফ করে দেয় তাহলে সেটি আরও উত্তম। এ প্রসঙ্গে রয়েছে, ‘আর ঋণগ্রস্থ ব্যক্তি যদি অভাবী হয়, তাহলে তাকে স্বচ্ছল হওয়া পর্যন্ত অবকাশ দাও। আর যদি ঋণ মাফ করে দাও, তাহলে সেটা তোমাদের জন্য আরও উত্তম, যদি তোমরা তা জানতে।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ২৮০)
প্রযুক্তির এই যুগে প্রায় সবার হাতেই মোবাইল ফোন রয়েছে। যোগাযোগ রক্ষায় মোবাইল ফোনের বিকল্প নেই। কিন্তু মোবাইল ফোন থাকলেই শুধু যোগাযোগ রক্ষা করা যায় না। এজন্য মোবাইল ফোনে ব্যালেন্স থাকতে হয়। তবে অনেক সময় টাকা না থাকলে মোবাইল ফোনে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিতে হয়।
কিন্তু কোনো ব্যক্তি যদি মোবাইল ফোনে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিয়ে মারা যান, সেক্ষেত্রে ইসলাম কী বলে, তা নিয়ে বিভিন্ন মত রয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলেছেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি রুহুল আমিন।
বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়ে মুফতি রুহুল আমিন বলেন, মোবাইল ফোনে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্সটা একটি ধার বা ঋণ। ঋণ ছোট হোক বা বড় হোক সেটা আদায় করতে হবে। কখন, কে দুনিয়া থেকে চলে যাবে তা কেউ জানে না। তাই যারা ওয়ারিশ থাকবে তাদের জন্য মোবাইল ফোনের ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স পরিশোধ করে দেয়া জরুরি।
তবে মোবাইল অপারেটরের পক্ষ থেকে যদি এমন কোনো চুক্তি হয় বা থাকে যে যারা মোবাইল ফোনে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিয়ে মারা যাবেন তারা মাফ পেয়ে যাবেন তাহলে সেটি ভিন্ন বিষয়। কিন্তু এমনটা না করলে, অবশ্যই ওই ঋণ পরিশোধ করতে হবে তার ওয়ারিশদের।
-বাবু/এ.এস