বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই ২০২৫ ২৬ আষাঢ় ১৪৩২
বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই ২০২৫
সাংবাদিক ইহসানকে স্বপরিবারে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৯:০৩ PM
বেসরকারি জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ব্রেকিংনিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক (অপরাধ) কাজী ইহসান বিন দিদার এবং তার বাবাকে ফোন করে পরিবারসহ অপহরণ করে হত্যার হুমকি দিয়েছে কতিপয় দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কাজী ইহসান বিন দিদার নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য রাজধানীর সূত্রাপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। 

ঘটনা প্রসঙ্গে কাজী ইহসান বলেন, মেট্রোরেল প্রকল্প নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ইটালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির আগারগাঁও সাইট অফিসের ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ শাফায়েত আহমেদ মেট্রোরেল ছাড়াও বিভিন্ন প্রকল্পে অবৈধ পন্থায় ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেন। বিভিন্ন প্রকল্প শেষে সেগুলো নির্মাণে ব্যবহৃত স্ক্র‍্যাপ-মেটাল (পুনরায় অব্যবহারযোগ্য লোহার জিনিস) অবৈধ কমিশন গ্রহণের মাধ্যমে বিক্রি, বিভিন্ন কোম্পানিকে জিম্মি করা, এই ধরণের অপকর্মে জড়িতের তথ্য পাই। একটি উন্নয়নমূলক প্রকল্পে কর্মরত থাকাকালে এধরণের কাজ সম্পূর্ণ অবৈধ। যার নানা ধরণের প্রমাণাদি আমার কাছে আছে।

তিনি বলেন, এই বিষয়টি শাফায়েত সাহেব আঁচ করতে পারলে গত ৫ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ ফোন করে আমাকে তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন। শাফায়াত সাহেবের ফোন পেয়ে সেদিন অফিস শেষ করে আমি সরল মনে তার সাথে দেখা করতে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পলাশি এলাকায় যাই। পরে সেখানে সে প্রথমবারের মতো মনিরুল হক সৌরভ নামে এক ছেলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। পরে, তাদের সাথে এসএম হল মাঠে প্রবেশ করি। 

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে শাফায়েত এবং সৌরভ ফোন করে সেখানে (তাদের মুখ থেকে শোনা) মইনউদ্দিন, ছোটন, ফরিদ, সুজন, অমিতসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে ডেকে আনেন। তারা সেখানে পৌঁছানোর পরই আমার ওপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় তারা সংঘবদ্ধভাবে কিল-ঘুষি ও টানাহেঁচড়া করতে থাকে। এরপর আমার ফোন কেড়ে নিয়ে আমার বাসায় ফোন দিয়ে বাবা ও স্ত্রীকে ৬ লাখ টাকা নিয়ে আসতে বলে। এভাবে ওইদিন রাত সেখানেই কেটে যায়। 

ভুক্তভোগী ইহসান বলেন, পরদিন সকাল ৯টায় প্রথমে আমার বাবা আসেন। এরপর মুক্তিপণ হিসেবে আমার স্ত্রী তার স্বর্ণালংকার বিক্রি করা ৬ লাখ টাকা নিয়ে বাচ্চাকে আনুমানিক দুপুর ১টায় এসএম হল মাঠে আসেন। সেখানে আসার পর তাদেরও জিম্মি করে ফেলা হয়। এরপর প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আমাদের মুক্তি দেওয়া হয়। 

তিনি বলেন, তারা আমাকে ও আমার পরিবারকে আগেই বলে রেখেছিল আমরা যাতে কোনোভাবেই আইনের আশ্রয় না নেই। সেই জন্যে শাফায়েতের নির্দেশে ৫ ফেব্রুয়ারি রাতেই আমাকে অস্ত্রের মুখে নিয়ে মারধর করার পর সৌরভ, মইন, ছোটন তাদের মোবাইলে শিখিয়ে দেওয়া মিথ্যা স্বীকারোক্তি নেয় এবং আমাকে বলে পুলিশের কাছে গেলে তারা সেই ভিডিও ভাইরাল করে দিবে। 

তিনি আরও জানান, ওই ঘটনার পর তারা প্রতিনিয়ত আমাকে ও আমার বাবাকে ফোন দিয়ে চাঁদা হিসেবে আরও টাকা দাবি করে থাকে। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে প্রথমে আমার বাবাকে এবং পরে আমাকে সৌরভের ফোন থেকে কল করে শাফায়েত, সৌরভ তাদের কথা মতো চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে আমাকে, আমার বাবা, আমার ছেলে, স্ত্রীকে অপহরণ করে হত্যার হুমকি দেয়। 

একই সঙ্গে রাস্তাঘাটে দেখা হলেও বড় ধরণের ক্ষতিসাধনের হুমকি দেয়। তারা বলে ‘টাকা না দিলে তোকে, তোর বাবাকে, ছেলেকে, স্ত্রীকে অফিস থেকে, নাহয় বাসা থেকে, নাহয় স্কুল থেকে উঠায়ে এনে একদম গুম করে ফেলব’। এরপর আমি আর কাল বিলম্ব না করে তাদের বিরুদ্ধে সূত্রাপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি বলে জানান ইহসান। এই বিষয়ে জানতে শাফায়েত, সৌরভ, মইন, ছোটনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

বাবু/জেএম
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


Also News   Subject:  সাংবাদিক   হত্যা  







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত