জার্মানিতে সামরিক প্রশিক্ষণ চালু নিয়ে বিতর্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৮:১৯ PM আপডেট: ১৬.০২.২০২৩ ৮:২০ PM
 ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলার বর্ষপূর্তির ঠিক আগে ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতিরক্ষার ক্ষমতার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। এক বছর ধরে ইউক্রেনকে অস্ত্র, গোলাবারুদ, সরঞ্জাম সরবরাহ করতে গিয়ে জাতীয় সেনাবাহিনী ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনকারী কম্পানিগুলো হিমশিম খাচ্ছে। বিশেষ করে কয়েক দশক ধরে অবহেলার পর জার্মানির মতো দেশের প্রতিরক্ষার বেহাল অবস্থা নিয়ে তুমুল তর্ক-বিতর্ক চলছে।
সেই বিতর্কে এবার নতুন মাত্রা যোগ করলেন জার্মানির নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিউস। চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস গত বছরই প্রতিরক্ষা খাতের জন্য এককালীন ১০ হাজার কোটি ইউরো বরাদ্দ করেছেন। ন্যাটোর লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বাৎসরিক প্রতিরক্ষা বাজেটও জিডিপির ২ শতাংশ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছেন। সেই সঙ্গে জার্মান সেনাবাহিনী ‘বুন্ডেসভেয়ারের’ আমূল সংস্কারের প্রয়োজনীয়তাও স্বীকার করছে তার সরকার।
কিন্তু পিস্টোরিউসের মতে, এমন সব পদক্ষেপই যথেষ্ট নয়। সেনাবাহিনীর লোকবল বাড়াতে নির্দিষ্ট বয়সের পুরুষদের বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ আবার চালু করার প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা করা উচিত। সংবাদ সংস্থা ডিপিএকে পিস্টোরিউস বলেন, শুধু যুদ্ধবিগ্রহ নয়, বিপর্যয়ের সময়ও এই বাড়তি লোকবল কাজে লাগবে। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে জার্মান তরুণদের বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ বন্ধ করা হয়েছিল।
জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এমন যুক্তির বিরুদ্ধে জোট সরকারের মধ্যেই জোরালো প্রতিক্রিয়া শোনা যাচ্ছে। সরকারের শরিক উদারপন্থী এফডিপি দলের বিচারমন্ত্রী মার্কো বুশমান বলেন, তরুণ প্রজন্ম এমনিতেই করোনা মহামারির কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যথেষ্ট কষ্ট সহ্য করেছে। তাই এমন অবস্থায় বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত আলোচনা একেবারেই কাম্য নয়। জার্মানির লাখ লাখ মানুষ নিজস্ব সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই স্বেচ্ছায় সেনাবাহিনীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন বলেও বুশমান উল্লেখ করেন।
জার্মান সেনাবাহিনীর রিজার্ভ সংগঠন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ভাবনার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। সংগঠনের প্রধান পাট্রিক সেন্সবুর্গ এক সংবাদপত্রের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেন, সেনাবাহিনীর মৌলিক দায়িত্ব হলো দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। তার জন্য আরো সরঞ্জামের পাশাপাশি লোকবল বাড়ানোও প্রয়োজন। বাধ্যতামূলক মিলিটারি সার্ভিস ছাড়া সেটা সম্ভব নয় বলে সেন্সবুর্গ মনে করেন।
সেন্সবুর্গ আরো বলেন, বর্তমানে জার্মানির সুরক্ষার জন্য প্রায় সাড়ে তিন লাখ সক্রিয় সৈন্য এবং ১২ লাখ রিজার্ভ সৈন্যের প্রয়োজন। অথচ এই মুহূর্তে দুই লাখেরও কম সৈন্য ও ৩০ হাজার রিজার্ভ সৈন্য সক্রিয় রয়েছেন। বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ ছাড়া সেই ঘাটতি মেটানো সম্ভব নয় বলে তিনি মনে করেন।
সূত্র : ডয়চে ভেলে
বাবু/এসআর
Also News Subject: জার্মানি বিতর্ক
সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com. কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত
|