জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেছেন, ড. জোহা দিবসকে শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে না রেখে উত্তরাঞ্চলের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নিয়ে সোচ্চার হওয়া দরকার। যাতে আজকের এই দিনটিকে দেশব্যাপী জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আমার যদি ক্ষমতা থাকত তাহলে আজকেই এই দিনটিকে জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষণা করতাম।
আজ শনিবার সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ড. জোহার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। পরে জোহা দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ সিনেট ভবনে ‘জোহা স্মারক বক্তৃতা’ অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, ড. জোহার রক্তের সিঁড়ি দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ত্বরান্বিত হয়েছিল। তবে এটা আমাদের ব্যর্থতা যে, সেই ড. জোহাকে দেশব্যাপী জাতীয়ভাবে স্মরণে শিক্ষক দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, ড. জোহা সারা বাংলাদেশের শিক্ষককূলের ঐতিহ্য। তিনি রক্ত দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন এ দেশের শিক্ষককূল কাপুরুষ নয়, তারা মহাসংকটেও মাথা উঁচু করে এগিয়ে যেতে পারে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, ড. শামসুজ্জোহার এই দিনকে সারা দেশের শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করতে পারি না।
বক্তৃতা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ড. জোহা কেবল শিক্ষকই ছিলেন না, ছিলেন প্রেরণা। যার আত্মাহুতির মাধ্যমে বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন ত্বরান্বিত হয়েছিল, পাক হানাদারের বিরুদ্ধে বাঙালি গড়ে তুলেছিল দুর্বার আন্দোলন। ছাত্রদের জন্য জীবন দেওয়া এই শহীদ বুদ্ধিজীবী বাঙালির জাতীয় জীবনে এক অবিস্মরণীয় নাম হয়ে আছে।
তিনি দিবসটিকে জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসেবে স্বীকৃতির জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল ইসলাম ঠান্ডু। রসায়ন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক হাসান আহমদ এতে সভাপতিত্ব করেন। অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল ইসলাম ও অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবায়দুর রহমান প্রামাণিক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পান্ডে, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক এম তারেক নুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাড়াও ড. শামসুজ্জোহার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে রাবি শিক্ষক সমিতি, বিভিন্ন হল ও বিভাগ, রাবি সাংবাদিক সমিতি (রাবিসাস), রিপোর্টার্স ইউনিটি, প্রেস ক্লাব, ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটসহ অন্যান্য রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
-বাবু/এ.এস