রাজধানীতে আরও ১৩টি কোম্পানির ৯৪৭টি বাসে চালু হচ্ছে ই-টিকেটিং। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে, বুধবার থেকে তৃতীয় ধাপের ই-টিকেটিং ব্যবস্থা চালুর ঘোষণা দেন সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ।
ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় ৯৭টি কোম্পানির অধীনে ৫ হাজার ৬৫০টি বাস চলাচল করে। সড়কে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে গেলো ১৩ নভেম্বর মিরপুরকেন্দ্রিক ৩০টি কোম্পানির ১ হাজার ৬৪৩টি বাসে ই-টিকেটিং চালুর কথা জানায় মালিক সমিতি।
চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ১১ কোম্পানির ৭১৭টি বাসে এই ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। তৃতীয় ধাপে আরও ১৩টি কোম্পানির ৯৪৭টি বাসে ই-টিকেট চালু হচ্ছে। কিন্তু অভিযোগ আছে, ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য থামেনি। নানা কৌশলে বাড়তি ভাড়া নেয়া হচ্ছে।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির প্রধান কার্যালয়ে দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ জানান, যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করবে সমিতি। সেজন্য অতিরিক্ত ‘চেকার’ নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এরপরে যাত্রীদের অন্যান্য সমস্যাগুলো সমাধানে মনোযোগ দেবেন তারা।
আগে চালু হওয়া ই-টিকেটিং ব্যবস্থা কার্যকর হয়নি, এখনও ইচ্ছেমত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ আসছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে এনায়েত উল্যাহ বলেন, চেষ্টা অব্যাহত আছে। যাত্রীরাও যেন টিকিট ছাড়া ভাড়া না দেন। এই কাজ তো শুরু করেছি যাত্রীদের সুবিধার জন্য। যাত্রীরা যাতে ন্যায্য ভাড়া থেকে বঞ্চিত না হয়।
ওয়েবিলের নামে স্বল্প দূরত্বে বেশি ভাড়া আদায়ের আভিযোগও আছে। মালিক সমিতির এই নেতা বলেন ডিজিটাল টিকেট ছাড়া ভাড়া আদায়ের কারসাজি বন্ধে তারা ট্রিপশিট চালু করেছেন। তিনি বলেন, সবাইকে ই-টিকেটের আওতায় আসতে হবে। শৃঙ্খলা ফিরতে একটু সময় লাগবে।
এনায়েত উল্যাহ বলেন, ই-টিকেটিং বাস্তবায়ন করার জন্য সমিতির পক্ষ থেকে আমরা অনেক দল রাস্তায় নামিয়েছি। অনিয়ম বন্ধে নয়জন স্পেশাল চেকার নিয়োগ দিয়েছি। আরও ১০ জন স্পেশাল চেকার নিয়োগ দেয়া হবে। তবে ভাড়া নিয়ে অনিয়ম দূর করতে আরও সময় লাগবে।
ই-টিকেটিং কার্যকরে বাস শ্রমিকদের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, কয়েকবার বসেছি। প্রতিটি কোম্পানিকে বলা হয়েছে, তারা যাতে শ্রমিকদের সচেতন করার উদ্যোগ নেন। কোথায় কোথায় কাজ করা উচিত তা আমরা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে মালিক সমিতির নেতারা আরও জানান, রাজধানীর ৪৬টি রুটে স্টপেজ বাড়ানো হয়েছে। দূরত্ব অনুযায়ী ভাড়ার চার্টও তৈরি হয়েছে। সেই চার্ট ডিভাইসে যুক্ত করে সরকারের ঠিক করে দেয়া ভাড়া আদায় করা হবে। এ ব্যাপারে যাত্রীদেরও সচেতন হতে বলেছেন মালিকরা।
-বাবু/এ.এস