রাজধানীর উত্তরা আজমপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ও মসজিদের উন্নয়ন হয়নি দুই যুগেও এছাড়াও ঈদগাহ মাঠ দখল করে অবৈধভাবে দোকান ও খাবার হোটেল তৈরির অভিযোগ উঠেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আজমপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ ও মসজিদ দানকৃত পুরাতন সম্পত্তি হলেও বর্তমানে রাজধানীর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) আওতাভুক্ত যা একটি কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হলেও বর্তমান মসজিদ কমিটির যোগসাজশে অবৈধভাবে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক ঘেঁষে খাবার হোটেল, বাস কাউন্টার, কামার দোকানসহ প্রায়ই অর্ধশত দোকান তৈরি হয়েছে সেখানে এমনটি অভিযোগ এলাকাবাসীর।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, দুই যুগ ধরে একই অবস্থায় পড়ে আছে মসজিদটি। কোনো রকম উন্নয়ন হয়নি। এমনকি টিনসেট হওয়ায় বৃষ্টি হলে মসজিদে পানি পড়তে থাকে। নেই পর্যাপ্ত সৌচগার ব্যবস্থা। অপরদিকে, ঈদগাহের অবস্থা আরো নাজুক।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, পরিত্যক্ত একটি জায়গা, যে যার মতো দোকান করছে। আগে সুন্দর ঈদগাহ মাঠ থাকলেও বর্তমানে তা শুধুই অতীত। ২০২০ সালে ঈদগাহ ও মসজিদের জায়গাটি রাজউক থেকে পেয়ে নিজস্ব খাজনা খারিজ দিতে প্রায় এক বছর সময় লাগে। ২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে খাজনা খারিজ সম্পন্ন হয়। ঈদগাহের অবস্থা এমন কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কুতুব উদ্দিন আহমেদ জানান, দোকান আগে থেকে ছিল। ভ্যানগাড়ি থেকে প্রতিদিন পাঁচশত টাকা আসে, সেটা মসজিদের ফান্ডে জমা হয়। যেখান থেকে স্টাফদের বেতন দেওয়া হয়। স্টাফদের বেতন আসে মাসে দেড় লাখ টাকা। সড়কের পাশে ঈদগাহের জায়গা দখল করে বাস কাউন্টার, খাবার হোটেল, কামার দোকান বসিয়েছেন কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এগুলো ঈদগাহ মাঠের পাশে আছে।
এছাড়াও ঈদগাহের জায়গা দখল করে হয়েছ নার্সারি; যার ফলে ঈদগাহ মাঠ বোঝাার কোনো উপায় নেই। এখন শুধু পরিত্যক্ত একটি জায়গা বলে মনে হলেও তেমন কোনো প্রতিক্রয়া নেই কমিটির। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কুতুব উদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, আমরা একটি ডিজাইন তৈরি করেছি ঈদগাহ মাঠ ও মসজিদ নিয়ে। যে ডিজাইন তৈরিতে খরচ হচ্ছে দুই কোটি টাকারও অধিক। তবে সাবেক কমিটি কত টাকা রেখে গেছেন এবং বর্তমান মসজিদের ফান্ডে কত টাকা আছে জানতে চাইলে তিনি অপরাগতা প্রকাশ করেন। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে ঈদগাহ মাঠসংলগ্ন মসজিদে যুগের পর যুগ ধরে একই অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় মুসল্লিদের মনে।
বাবু/জেএম