বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশন থানার অধিনে গত ২০২২ সালে ব্রড গেইজ ও মিটার গেইজ রেললাইনে ট্রেনে কাটা পড়ে ৬১ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আত্মহত্যা, মুঠোফোন ব্যবহার, অসাবধনতা ও দুর্ঘটনা এসব মৃত্যুর অন্যতম কারণ বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।
এদিকে ট্রেনে কাটাপড়ে মৃত ব্যক্তির মরদেহ বহন ময়নাতদন্ত করা ও দাফনে সরকারী বরাদ্দ অপ্রতুল হওয়ায় নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রেলওয়ে পুলিশ বিভাগের। সান্তাহার রেলওয়ে জংশন সূত্রে জানা যায়, সান্তাহার জংশন স্টেশন থেকে উত্তরে দিনাজপুর জেলার হিলি স্টেশন পর্যন্ত ৬৫ কিলোমিটার, দক্ষিণে নাটোর জেলার মালঞ্চী স্টেশন পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার এবং পূর্বে বগুড়ার জেলার সোনাতলা স্টেশন পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে সান্তাহার রেলওয়ে থানা (জিআরপি)। এই বিশাল এলাকা জুড়ে রেললাইনের উভয় পাশের ১০ মিটার পর্যন্ত রেলওয়ে থানার অন্তর্ভুক্ত। এই ১০ মিটারের মধ্যে যে কোন দুর্ঘটনা, মৃত্যুসহ অন্যান্য সকল অপরাধের দেখভালের দায়িত্ব সান্তাহার রেলওয়ে থানা পুলিশের।
সান্তাহার রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোক্তার হোসেন জানান, গত ২০২২ সালে রেলওয়ে জংশন থানার বিশাল এলাকা জুড়ে ৬১ জন নারী ও পুরুষ ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে। তাদের অধিকাংশের বয়স ২৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। আত্মহত্যা, অসাবধানতা ও রেললাইনে দাঁড়িয়ে মুঠোফোন ব্যবহার ট্রেনে কাটাপড়ে মৃত্যুর অন্যতম কারণ। কোন ব্যক্তি ট্রেনে কাটাপড়ে মারা গেলে তার লাশ বহন করে থানায় নিয়ে আসা, সনাক্ত করা, ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো বাবদ সরকারী বরাদ্দ মাত্র এক হাজার ২০০ টাকা। অথচ অজ্ঞাত পরিচয়ের একটি মরদেহ উদ্ধার করা থেকে দাফন করতে ৫/৬ হাজার টাকা ব্যয় হয়।
অনেক সময় বিভিন্ন সংস্থার সহয়তায় লাশ দাফনের কাজ সম্পন্ন করতে হয়। তিনি মরদেহ বহন ও দাফন খরচ বৃদ্ধি করার জন্য রেলওয়ের পাকশী বিভাগের বিভাগীয় ব্যবস্থাপকের (ডিআরএম) নিকট আবেদন করেছেন। তিনি বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
পাকশী বিভাগের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক শাহ সুফি নুর মোহাম্মাদ মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, রেললাইনে কাটাপড়ে মৃত ব্যক্তির মরদেহ বহন ও দাফনের অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট জানানো হয়েছে।
বাবু/এ আর