চট্টগ্রামের অভিজাত বিপনী মিমি সুপার মার্কেটে ফিক্সড প্রাইজের আড়ালে চলছে ‘যেমন খুশি তেমন দাম’ আদায়ের মহোৎসব। তবে এবারই প্রথম নয় বিগত কয়েক বছর ঈদ মৌসুমে এই মার্কেটে যতবারই অভিযান চালানো হয়েছে ততবারই মিলেছে ক্রয় মূল্যের চেয়ে দ্বিগুন দামে পণ্য বিক্রির অভিযোগ। এসব অভিযানে মার্কেটের একাধিক দোকানকে গুনতে হয়েছে জরিমানা।
সেই ধারাবাহিকতায় আজ সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে সেই আগের অভিযোগেই মিমি সুপার মার্কেটের মনি শাড়িজ নামক প্রতিষ্ঠানকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। একই অভিযানে সেইফওয়ে কসমেটিকস নামক প্রতিষ্ঠানে বিদেশি প্রসাধনী সামগ্রীতে আমদানি কারকের নাম না থাকায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া ভোক্তা অধিকারের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ফয়েজ উল্লাহ উপস্থিত গণমাধ্যমকে বলেন, ইচ্ছে মতন দামে পণ্য বিক্রি, আমদানি তথ্য ও ক্রয়ের কোন তথ্য, রিসিট দেখাতে পারেননি। আর যেসকল বিদেশি কসমেটিকস বিক্রি করা হচ্ছে সেগুলোর গায়ে আমনাদিকারকের নাম ঠিকানা উল্লেখ না থাকায় আমরা প্রতিষ্ঠান দুটোকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি৷
তবে পুরো মার্কেটের মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করায় অনেকেই বলছে, এসব নিয়ম রক্ষার অভিযান। সেখানে উপস্থিত মিজানুর রহমান নামক এক ক্রেতা বাংলাদেশ বুলেটিনকে আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমি শুরু থেকেই আজকের অভিযান দেখছি। মার্কেটের সমিতির লোকজন যেভাবে দোকানদারদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে তর্ক করছে তাতে মনে হয় না এসব অভিযানের পর ক্রেতারা কোন সুফল পাবে।’
বাবু/জেএম