ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে তীব্র গরম আর লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সরাইলের মানুষ। এই গরমে উপজেলাতে লোডশেডিংয়ে শিশু কিশোর থেকে শুরু করে বৃদ্ধ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বিদ্যুৎ না থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া করার ক্ষেত্রে মারাত্বক ব্যাঘাত ঘটছে।
রমজান মাসে ইফতার, তারাবি ও সেহরির সময়ও মিলছে না বিদ্যুৎ। ঘন-ঘন লোডশেডিং হওয়ায় ক্ষোভ বিরাজ করছেন সরাইল উপজেলাবাসী। এদিকে পবিত্র মাহে রমজান শেষ পর্যায়ে ঈদের বেচাকেনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন কাপড় ব্যবসায়ীরা। এ পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিদ্যুৎ কিছু সময়ের জন্য দেয়া হলেও দীর্ঘ সময় বিদ্যুতের লোডশেডিং চলে। ঘন-ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিং আর মাত্রাতিরিক্ত গরম। বৃষ্টি না হওয়ায় সরাইলের আবহাওয়া আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। তীব্র গরম আর লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন।
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, প্রচণ্ড গরম আর বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে ক্রেতারা বাজারে আসছেন না। মাত্র ঈদ বাজার জমে উঠেছিল। বেচাকেনা কম হওয়ায় ব্যবসায়ীকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে সরাইল বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, প্রচণ্ড গরমে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেই সাথে চাহিদা অনুযায়ী এ উপজেলায় বরাদ্দ কম। তিনি বলেন, ১৬ মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ প্রয়োজন। ১০-৯ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বাধ্য হয়ে লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
বাবু/জেএম