আম পাকার মৌসুম মে মাস থেকে শুরু হলেও সাভার ও আশুলিয়ার বাজার গুলোতে সয়লাভ ফরমালিনযুক্ত আমের সয়লাভ। ২৫ এপ্রিল সোমবার সাভার ও আশুলিয়ার ফলের বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতারা গাছ পাকা আম মনে করে ফরমালিন যুক্ত এই আম বেশি দামে কিনে প্রতারিত হচ্ছেন।
সেই সাথে এই ফরমালিন যুক্ত আম খেয়ে মানুষ পেটের পীড়া, হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, বদহজম, ডায়রিয়া, আলসার, চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগ আক্রান্ত হচ্ছেন। সাভার ও আশুলিয়া শ্রমিক এলাকা হওয়ায় এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ক্রেতাদের সাথে এই প্রতারণা করে আসছেন।
আসিফ উদ্দিন নামের এক ক্রেতা জানায়, এখানো কোন গাছে আম পাকেনি। কিন্তু বিভিন্ন এলাকায় কিছু মানুষ বাতাসে পড়ে যাওয়া আম ফরমালিন দিয়ে বেশি দামের আশায় পাকাচ্ছেন। যা সাভার ও আশুলিয়ার আড়তদাররা কিনে আনছেন কম দামে। পরে আম গুলো বিক্রেতারা এক’শ বিশ টাকা কেজি দরে আড়ত থেকে কিনে বাজারে এনে দেড়’শ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। সাধারণ মানুষ ও শ্রমিকরা ভিটামিন ডি যুক্ত এই রসালো ফরমালিনযুক্ত আম কিনে প্রতারিত হচ্ছেন।
তিনি আরও জানান, ফরমালিন যুক্ত এই আমের বাজারে প্রশাসনের মনিটরিং করে আমাদেরকে ফরমালিনযুক্ত এসব আম দিয়ে প্রতারিত হওয়া থেকে রক্ষা করা উচিত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী গণমাধ্যমকর্মীর প্রশ্নের মুখে বলেন, আম গুলো আরো বড় হতো কিন্তু বাতাসে পড়ে যাওয়া পচা আম গুলো ফরমালিন দিয়ে পাকিয়ে তা বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। শুধু আমই নয়, রসালো বাঙ্গি ও তরমুজ কেমিক্যাল দিয়ে পাকিয়ে বাজারে বিক্রি করা হয়।
এ বিষয়ে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, ফরমালিনযুক্ত আম যারা বিক্রি করবে তাদেরকে জরিমানাসহ আইনের আওতায় আনা হবে।
বাবু/জেএম