চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ নেতাসহ ছয় জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিএনপি। যদিও গত ২০ জুলাই (বৃহস্পতিবার) কোতোয়ালী থানায় একই বাদীর সাক্ষরিত এজাহারে দুইজনের নাম উল্লেখ ছিল। তিনদিনের ব্যবধানে এজাহার নামিয় আসামির সংখ্যা বেড়েছে ৬ জনের।
ঘটনার বিষয়ে মামলার বাদী বিএনপি কার্যালয়ের কেয়ারটেকার কাজী মাহমুদ হোসেনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এসব বিষয় উপরের নেতৃবৃন্দ জানেন বলে জানান। তবে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম।
সোমবার (২৪ জুলাই) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব এর আদালতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি, নগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ারুল আলম চৌধুরী নোবেল, চান্দঁগাও এলাকার মোজাফফর মিয়ার ছেলে আবু খৈরাম তৈয়ব, খুলশি থানা এলাকার জ্যেতি লাল দাশের ছেলে গোবিন্দ দাশ ও একই থানা এলাকার মো. আজিমের ছেলে মো. তুষার ও শাহ্ আলমের ছেলে ব্ল্যাক হৃদয়
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয় যে, বুধবার (১৯ জুলাই) আসামিদের নেতৃত্বে আজ্ঞাতনামা ২০০-২৫০ জন ব্যক্তি বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ৮০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে। এবং এক লাখ টাকা মূল্যের একটি ল্যাপটপ লুট করে নিয়ে যায়। মামলার এজাহারে ঘটনার পরের দিন বৃহস্পতিবার কোতয়ালী থানায় মামলা করতে গেলে থানায় সেটি গ্রহণ না করার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়। বাংলাদেশ বুলেটিনের হাতে আসা সেদিন কোতোয়ালী থানায় জমা দেয়া এজাহারের কপিটিতে নুরুল আজিম রনি ও মনোয়ারুল আলম নোবেল সহ অজ্ঞাত আরো ২০০/২৫০ জনকে আসামি উল্লেখ করা হয়। তবে আজকের (২৪ জুলাই) আদালতে দায়ের করা মামলার এজাহারে সেই দু'জন সহ আরো বাড়তি ৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এসব বিষয়ে মামলার বাদীর সাথে যোগাযোগ করে থানায় দেয়া এজাহারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এসব বিষয় উপরের নেতারা বলতে পারবেন বলে জানান৷
প্রসঙ্গত, বুধবার চট্টগ্রাম ১০ আসনের উপ নির্বাচনের নৌকার প্রার্থী মহিউদ্দীন বাচ্চুর ওয়াসা মোড়স্থ প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও হামলা চালায় বিএনপির সমর্থিতরা। এই ঘটনার পর আওয়ামী লীগের বিক্ষুব্ধ নেতা কর্মীরা মিছিল করে বিএনপির দলীয় কার্যালয় নসিমন ভবনে সামনে এসে বিক্ষোভ করে। মহিউদ্দিন বাচ্চুর নির্বাচনী কার্যালয়ে ঘটনার সেইদিন আওয়ামী লীগের এক কর্মী বাদী হয়ে একটি এবং থানা পুলিশের পক্ষ থেকে আরো একটি মামলা করা হয় বিএনপির নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে।
বাবু/জেএম