শুক্রবার ৪ জুলাই ২০২৫ ২০ আষাঢ় ১৪৩২
শুক্রবার ৪ জুলাই ২০২৫
আগের চেয়ে সক্রিয় অভিযান, নেই হয়রানি
সেবার মান বাড়িয়ে গ্রাহকের নজর কেড়েছে গাজীপুর বিআরটিএ
বাড়িতে পাচ্ছে লাইসেন্স, ফিটনেসবিহীন মটরযান বন্ধ ঘোষণা
বাসন (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৫:১৪ PM আপডেট: ০৫.০৯.২০২৩ ৫:১৯ PM
স্বস্তির হাওয়া বইতে শুরু করেছে গাজীপুর বিআরটিএ’র অফিস প্রাঙ্গনে।  সেবা দিতেও যেন স্বস্তি বোধ করছেন কর্মকর্তারা। ডাকে পৌঁছাবে লাইসেন্স এই সেবা থেকেই আবেদন গ্রহিতারা বাড়িতে বসে ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে ডাকে পেয়ে যাচ্ছে। আগের মত নেই আর অফিস প্রাঙ্গনে ভিড়াভিড়ি, ঘোরাঘুরি। পরীক্ষায় বসতে নেই কোন বাড়তি ঝামেলা। একসময় পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরও বছরের পর বছর লাগতো  আঙ্গুলের ছাপ দিতে। এখন সময় পাল্টে যাওয়া হওয়ার কারণে পরীক্ষার দিন প্রথমেই আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে (বায়োমেট্রিক) সম্পূর্ণ করে পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে। এতে করে সময়ের সাথে সাথে ঝামেলা নেই বললেই চলে। 

পরীক্ষায় সম্পূর্ণ হওয়ার পরে সকল কাগজপত্র বৈধতা পেলে ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে লাইসেন্স বাড়িতে বসেই পাচ্ছে আবেদনকারীরা। এতে খুশি আবেদনকারীরা। বিআরটিএ অফিস এ নেই আগের মত কোন বাড়তি ঝামেলা। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী সেবা পেয়ে  কর্মকর্তাদের প্রতি  স্বস্তি প্রকাশ করেন। 

উল্লেখ্য, সকল সেবা অনলাইনে ই-সেবার মাধ্যমে হচ্ছে। বিআরটিএ সেবার মান বাড়িয়ে গ্রাহকের নজর কেড়েছে।

সহকারি পরিচালক আবু নাঈম বলেন, সারাদেশের মতো গাজীপুর বিআরটিএ অফিস এখন দালাল ও হয়রানি মুক্ত। সচিব মহোদয় তথা হেড অফিসার ডাকে পৌঁছাবে লাইসেন্স এ প্রকল্প সাথে সাথে ডিজিটাল সেবায় রূপান্তরিত করা হয়েছে। যাতেকরে আগের মত আর দীর্ঘ লাইন নেই, নেই কোন হয়রানি। আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে নেই কোন জটিলতা। এ সেবার কারণে সকল কর্মকর্তাগণ আবেদনকারী কে সহজ ভাবে বোঝাতে সক্ষম এবং সময় দিতে পারছে। এছাড়াও ফিটনেসবিহীন মোটরযান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সেবা ধরে রাখতে সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। 

পরিদর্শক ওয়াহিদুর রহমান বলেন, অবৈধ দালাল চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান আগের চেয়ে সক্রিয়। গত দুই মাসে বিআরটিএ সার্কেল থেকে ২০০০ থেকে ২৫০০ ড্রাইভিং লাইসেন্স ডাকের মাধ্যমে গ্রহীতার ঠিকানায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে। আবেদন করার পর থেকে ই-সেবার মাধ্যমে সঠিক ঠিকানায়  লাইসেন্স দিতে আমরা সক্ষম হয়েছি। এতে করে আগের মত আর সেবা দিতে বিচ্ছিন্ন ঘটনা দেখা দিচ্ছে না। সেবা পেতেও আর ভোগান্তি হচ্ছে না আবেদনকারীদের। তিনি আরো বলেন, লাইসেন্স সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা হলে সরাসরি অফিসে কথা বলার জন্য গ্রহীতাগণকে আহ্বান জানান। 

পরিদর্শক সাইদুল ইসলাম সুমন বলেন, প্রতি  মাসে ৩০০- ৪০০ মোটরযান পরিদর্শন করা হচ্ছে এবং নিয়ম অনুসারে তাদের রোড পারমিট দেয়া হয়েছে। যা বিগত সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। রোড পারমিট না থাকার কারণে বিভিন্ন এলাকায় বাস ও অন্যান্য মোটরযানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে তার পাশাপাশি নানা ধরনের সচেতনতামূলক  কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রশিক্ষণ, পরীক্ষা, লিফলেট, ব্যানার  বিতরণ করা হচ্ছে। এটা সম্ভব হয়েছে ডিজিটাল এই সেবার কারণে। মোটরযান গ্রাহকদের সকল তথ্য সঠিকভাবে উপস্থাপনের অনুরোধ জানান পরিদর্শক। 

লাইসেন্স গ্রহীতা আব্দুল কালাম  বলেন, কখনো ভাবতে পারিনি এত অল্প সময়ের মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স বাড়িতেই পাব। আবেদনের ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে আমি বাড়িতে বসেই ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়েছি। আমার কোন ভোগান্তি হয়নি। বিআরটিএর কর্মকর্তারা আমাকে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন। তাদের এই ডিজিটাল সেবার উদ্যোগের জন্য আমি সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত