২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মৃত্যু হয় বলিউড অভিনেত্রী শ্রীদেবীর। ইতোমধ্যে মৃত্যুর পাঁচ বছর পেরিয়েছে। কিন্তু এতবছরেও সেই মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক কাটেনি। প্রথমত দুবাইয়ের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছিল তার। তখন অনেকেই আঙুল তুলেছেন অভিনেতা বনি কাপুরের দিকে।
বিভিন্ন সময় সোশ্যাল মিডিয়াসহ নানা মাধ্যমে প্রশ্ন উঠেছে যে, শ্রীদেবীর মৃত্যু কি দুর্ঘটনা, স্বাভাবিক নাকি তাকে খুন করা হয়েছিল। আবার অনেকেই দাবি করেন, জাহ্নবী কাপুরকে নিয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার কারণে অনেকটা তাড়াতাড়ি করে বিয়ে করতে হয়েছিল শ্রীদেবী ও বনিকে। কিন্তু আসলেই কি তাই?
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, সম্প্রতি এ নিয়ে কথা বলেছেন বনি। তিনি বলেন, আমার দ্বিতীয় বিয়ে। শ্রীদেবীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল শিরডির মন্দিরে। ১৯৯৬ সালে সেখানে বিয়ে করি। বিয়ের পর ১ রাত মন্দিরেও ছিলাম আমরা।
বনি বলেন, শ্রীদেবীর প্রেগন্যান্সি স্পষ্ট হয় জানুয়ারি মাসে। তখন সামাজিক বিয়ে ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় ছিল না। ১৯৯৭ সালের জানুয়ারিতে সামাজিকাভাবে বিয়ে হয় আমাদের। অনেকেই মনে করেন―জাহ্নবী আমাদের বিয়ের আগেই এসেছে, এটা একদমই ভুল।
এছাড়া স্ত্রী শ্রীদেবীর আধ্যাত্মিকতার প্রতি যে টান রয়েছে, সে কথাও বলেন বলি তারকা বনি। তিনি বলেন, শ্রীদেবী হোব বা সুনিতা (ভাই অনিল কাপুরের স্ত্রী), আমি বা অনিল কিংবা আমার মেয়ে জাহ্নবী, আমরা সবাই ঈশ্বরে বিশ্বাসী। শ্রীদেবী তার প্রতিটি জন্মদিনে তিরুপথি মন্দিরে হেঁটে পূজা দিতে যেতেন। আমি যখনই কোনো সমস্যায় পড়তাম, সে জুহু থেকে সিদ্ধি বিনায়ক পর্যন্ত খালি পায়ে হেঁটে যেতেন।
তারকা দম্পতির মেয়ে জাহ্নবী কাপুরকেও একিাধিকবার তিরুপতি দর্শনে দেখা গেছে। মা শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর থেকেই প্রতিবছর মায়ের জন্মদিনে তিরুপতি গিয়ে পূজা দেন।
বাবু/এ.এস