চট্টগ্রাম নগরীতে ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে সকাল থেকে প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে যা আরো কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে৷ ফলে চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড় ধ্বসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামের পাহাড়গুলোতে বসবাসরতদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে সরিয়ে নেয়ার জন্যে চট্টগ্রামের ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই আকবরশাহ এলাকার বিজয় নগর ও ঝিল ১,২,৩, বেলতলীঘোনা, টাংকির পাহাড়, মতিঝর্ণা, ষোলশহর ও পোড়াকলোনীর ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়গুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১০০ টি পরিবারকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়।
কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার( ভূমি) উমর ফারুক বাংলাদেশ বুলেটিনকে বলেন,আজ সকাল থেকেই চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে।মানুষের জানমাল রক্ষার্থে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান মহোদয়ের নির্দেশনায় নগরীর ৬ জন সহকারী কমিশনার ( ভূমি) এর নেতৃত্বে চট্টগ্রাম মহানগরে ৬ টি সার্কেল এর মাধ্যমে ভাগ করে পাহাড় রক্ষায় ও মানুষের জানমাল রক্ষায় জেলা প্রশাসনের কয়েকটি টিম কাজ করছে। মাইকিং থেকে শুরু করে মানুষকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে সরে যেতে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বাংলাদেশ বুলেটিনকে বলেন, চট্টগ্রামের পাহাড়ে গুলোতে যাতে মানুষের আর প্রাণহানি না ঘটে সেই লক্ষ্যে আমরা নিরলস কাজ করছি। ইতিমধ্যে এসব এলাকায় মাইকিং থেকে শুরু করে সকলকে সচেতন করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের টিম কাজ করছে। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়গুলো থেকে ১০০ পরিবারকে সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।তাদের জন্যে শুকনো খাবার থেকে শুরু করে প্রতিবেলার খাবারের ব্যবস্থা করেছি। চট্টগ্রামের সকল পাহাড় থেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত পরিবারকে ১৯ টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করার জন্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী গত কয়েকদিন আগে বেলতলীঘোনায় পাহাড়ের পাদদেশ থেকে বসবাসরতদের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।যারা পাহাড় কাটার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা ও নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।পাহাড় রক্ষায় জেলা প্রশাসন চট্টগ্রাম জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজ করছে। ব্যক্তি বা সরকারি যার মালিকানায় পাহাড় থাকুক যারা পাহাড় কাটার সাথে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।