বুধবার ২ জুলাই ২০২৫ ১৮ আষাঢ় ১৪৩২
বুধবার ২ জুলাই ২০২৫
লোকসানের শঙ্কা নিয়েই কৃষকের আমন ধান কাটা শুরু
হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: সোমবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৩, ১:৫৮ PM
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়ে গেছে বোনা আমন ধান কাটা। কৃষকের হেমন্তের দিন শুরু হয়েছে লোকসানের গল্প দিয়েই। অনেক কৃষকই আমন ধান কেটে জমিতে তৈরি করছেন মুড়িকাটা পিঁয়াজ চাষের জন্য। তবে তুলনামূলকভাবে ধানের ফলন ভাল না হওয়ায় লোকসানের শঙ্কায় রয়েছে উপজেলার কয়েক হাজার কৃষক।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কৃষকেরা দল বেঁধে ধান কাটছেন ফসলি জমিতে। অনেক কৃষক ধান কাটার জন্য রোজ হিসেবে শ্রমিক নিয়েছে চড়া দামে। অনেকে আবার পুরো ক্ষেত চুক্তিতে ধান কাটাচ্ছে। 

তবে কৃষকদের সাথে আলাপকালে তারা জানান, বর্ষা মৌসুমে পানি কম হওয়া,সঠিক সময়ে সার না পাওয়া এবং কৃষি অফিসের সহযোগিতা না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ কৃষক। 

কৃষি অফিস বলছে, কৃষকদের নিয়মিত যোগাযোগ,সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন তারা। কৃষকেরা বলছে, এ বছর বোনা আমনের ফলন আশানুরূপ হয়নি। যা হয়েছে তাতে শ্রমিকের খরচ দিয়ে লাভ হবে না বরং লোকসানই হবে।

উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নের খেরুপাড়া গ্রামের কৃষক মোঃ বারেক মোল্লা জানান, আমি এ বছর দুই বিঘা জমিতে বোনা আমন বুনছি। কিন্তু বর্ষার পানি বেশি না হওয়ায়, সঠিক সময়ে সার না পাওয়া এবং কৃষি অফিসের কোন প্রকার সহযোগিতা না পাওয়ায় ধান ভাল হয়নি। সার আর কামলা খরচ যে হারে লেগেছে, তাতে আমার লোকসান হবে। কারণ দুই বিঘা জমিতে সর্বোচ্চ ৭/৮ মণ ধান হবে। এতে খরচ উঠাই কষ্টকর হবে।

ঝিটকা উজানপাড়া গ্রামের নুরু উদ্দিন জানান, আমি তিন বিঘা জমিতে বোনা আমন বুনছি। ফলন মাঝারি হইছে। তবে যে হারে খরচ হয়েছে তাতে খরচের টাকা হয়তো উঠবে। ফলন যা হইছিল তাতে বর্ষার পানি যদি আরও কিছু দিন থাকতো, তাহলে আরও ভাল ফলন হতো। আমাদের এলাকায় ভরপুর একটা বর্ষা দরকার। তাতে জমিতে নতুন পলি পরতো এবং সব ধরনের ফলনই ভাল হতো।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় চলতি বছরে বোনা আমনের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০৭০ হেক্টর জমি আর আবাদ হয়েছে ৩৫৭০ হেক্টর জমিতে।  রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৫ হেক্টর, আবাদ হয়েছে ৩৫ হেক্টর জমিতে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সোহেল (ভারপ্রাপ্ত) জানান, চলতি বছরে পানি একটু কম হওয়ায় চরাঞ্চলসহ নিচু এলাকায় রোপা আমনের চাষের পরিমাণ বেশি হয়েছে। এছাড়াও বোনা আমনও আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। তবে পানি একটু কম হলেও আমাদের যে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা আছে, তা পূরণ হবে আশা করি। আর কৃষক যাতে ধানের বীজ, সার ঠিক মতো পায় সে জন্য আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ মনিটরিং ছিল।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত