মঙ্গলবার ৮ জুলাই ২০২৫ ২৪ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার ৮ জুলাই ২০২৫
দশমিনায় শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত চাষীরা
দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৩, ১:৩০ PM
শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার প্রান্তিক কৃষকেরা। বিভিন্ন জাতের সবজির চারা রোপণ ও পরিচর্যায় কৃষক পরিবার গুলোতে ব্যস্ততায় সময় পার করছেন তারা। 

উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে এখনো পাওয়া যাচ্ছে শীতকালীন শাক-সবজির চারা। জাতভেদে সবজির চারার দামও ভিন্ন ভিন্ন। পেশাদার কৃষক ছাড়াও শৌখিন মানুষেরা শখের বশে বাড়ির আঙিনায় কৃষিতে ঝুঁকছেন।

উপজেলার কয়েকটি গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে,বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, বেগুন, মুলা, করলা, লাল শাকসহ শীতকালীন সবজির চারা। মাঠে মাঠে এসব ফসল পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। ভোরে হলেই দেখা যায় কোদাল, বালতি, স্প্রে মেশিন ইত্যাদি নিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন সবজি পরিচর্যায়। বিকেল পর্যন্ত পরিচর্যা করে বাড়ি ফিরছেন। ভালো দাম পেতে আগাম শাক-সবজির চাষে ঝুকছেন তারা। তাই তাদের বেড়েই চলছে কাজের চাপ।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ২১ হাজার ৭ শত পরিবার এখন সবজি চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে। কৃষি বিভাগ সবজি চাষে উৎসাহ দেওয়ার জন্য কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, উপজেলায় রবি মৌসুমে ২১০ হেক্টর হজমিতে এবং গ্রীষ্মকালে সবজি চাষ হয়। রবি মৌসুমে ৩ শত হেক্টর জমিতে ৩ হাজার ৫ শত মেট্রিক টন সবজি উৎপাদন হয়।যা দিয়ে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। বাণিজ্যিকভাবে প্রতি বছরই শীতকালীন সবজি চাষ হয়। পুরুষের পাশাপাশি সবজি চাষে অবদান রেখেছে নারীরাও। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের কয়েক গ্রামে ১২ মাসই সবজি চাষ হয়। পুরুষরা তাদের সহায়তা করেন এবং বাজারজাতের কাজ করেন।

দশমিনা বাজারের বিভিন্ন জাতের চারা বিক্রেতা মো.হাবিব বলেন, বাজারে বিভিন্ন জাতের সবজি চারা বিক্রি করেই সংসার চলে আমার।কৃষি অফিস থেকে বীজ, সার কিংবা পরামর্শসংক্রান্ত সহযোগিতা পাই। কোনো সমস্যা হলে কৃষি অফিসেআলাপ করে সমাধান নেই। আমার চাড়ার  গুণগত মান ভালো হওয়ায় এই চারার চাহিদা বাড়ছে বলে দাবি তার।

উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের কৃষক মো.আলম হাওলাদার বলেন,এই বছরে আমি আমার জমিতে বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করেছি,এর মধ্যে রয়েছে  লাউ,মুলা, লাল শাক, বেগুনসহ নানা জাতের সবজি। আর কিছুদিন পরই ফসল বিক্রি করার  যেতে পারে। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাফর আহমেদ বলেন, আমরা কৃষকদের আগাম সবজি চাষবাদে বিভিন্নভাবে উদ্বুদ্ধকরণ করে থাকি কারন এ সময় সবজির দাম বেশি পাওয়া যায়।এছাড়াও সার্বোক্ষনিক পরামর্শ সহ সকল ধরনের কারিগরি সহোযোগিতা করা হয়।


« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত