মঙ্গলবার ৮ জুলাই ২০২৫ ২৪ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার ৮ জুলাই ২০২৫
ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে সোনাগাজীতে ব্যাপক ক্ষতি
সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: শনিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৩, ৮:৫৮ PM আপডেট: ১৮.১১.২০২৩ ৯:০১ PM
ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজীতে কৃষিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে কৃষি ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক জায়গায় গাছপালা, বসতঘরেরও ক্ষতি হয়।

এছাড়া বৈদ্যুতিক খুটি উপড়ে যাওয়ায় উপজেলার অনেক স্থানে বিদ্যুৎতের লাইনে  ক্ষয় ক্ষতি। উপজেলার কিছু কিছু স্থানে গাছ উপড়ে পড়ায় বিভিন্ন সড়কের ক্ষয়ক্ষতি হয়। উপজেলার কোনো স্থানে প্রাণহানির মত ঘটনা ঘটেনি বলে উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছেন।

উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলা ব্যাপী আমন আবাদ হয়েছে প্রায় ২১ হাজার হেক্টর। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৫০ হেক্টর রোপা আমন।  শীত কালীন শাকসবজি আবাদ হয়েছে ৬৫০ হেক্টর জমিতে এর মধ্যে ৫ হেক্টর শাক সবজির জমি ক্ষয়ক্ষতি হয়। 

উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে বসত ঘর আনুমানিক ৬৫টি ঘরের ক্ষতিগ্রস্ত হয় এর মধ্যে ৫টি সম্পূর্ণ ও বাকি গুলো আংশিক ভেঙে ক্ষতি হয়। সম্পূর্ণ ভাঙ্গার মধ্যে একটি হল মন্দির ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমের ঘর । 

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সোনাগাজী জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১৫ টি বিদ্যুৎ এর খুটি ভেঙে যায় এবং ১৫০ স্পটের তার ছিড়ে যায়। পৌরসভা সহ বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ সকাল থেকে সচল ছিল এবং বিকেল নাগাদ উপজেলার সকল জায়গায় সচল করা হয়।

মতিগঞ্জ ইউনিয়নের পালগিরি গ্রামের রেশমা আক্তার নামের এক বিধবা জানান, আমি আমার ৫ সন্তান নিয়ে কোন রকম একটি টিনের ঘরে জীবন পার করতেছি। গত কালের ঘূর্ণিঝড়ে আমার ঘরটি ভেঙে যায়। আমি জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তারা যেন আমাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।

চরচান্দিয়া ইউনিয়নের মহেশ্চর গ্রামের কৃষক বেলায়েত হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কারণে আমার জমির প্রায় ধান নুয়ে পড়ে। ধানে মাত্র ফুল আসছে। এগুলো ভুষি হয়ে যাবে।  যদি ধান গুলো নষ্ট না হতো আমি ৪০ আড়ি ধান পেতাম, নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমি উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতা কামনা করছি।

উপজেলা কৃষি অফিসার মাঈন উদ্দিন জানান, মিধিলির আঘাতে যে সকল কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের তালিকা করে জেলা কৃষি পূনর্বাসন কমিটির কাছে সুপারিশ করবো তারা যেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনার আওতায় এনে ক্ষতিটা কিছুটা হলেও লাঘব হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান জানান, বসত ঘর যেগুলো আমরা নির্ধারণ করেছি তা হয়তো বাড়তে পারে। কেননা একদিনের মধ্যে এটি চুড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি। আগামী কাল এটি চুড়ান্ত হবে বলে আশাকরছি। এছাড়া  আমরা জনপ্রতিনিধিদের জানিয়েছি কোথাও যদি খাদ্যের সমস্যা থেকে তাহলে সেটি সাথে সাথে আমাদের জানাতে। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে এটি সরবরাহ করবো। আমাদের প্রতি জেলা প্রশাসকের যে নির্দেশনা রয়েছে তার আলোকে সে সকল ঘরের ক্ষতি হয়েছে আমরা সরজমিনে গিয়ে দেখে নির্ধারণ করে তাদের টিন সহায়তা দেয়া হবে।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত