রাজবাড়ীতে বাণিজ্যিক ভাবে ফুলচাষ করে সফলতা অর্জন করেছে তরুন উদ্যোগতা মো.জাহিদ হাসান তপু। তিনি জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার ভীমনগর গ্রামের শামসুর রহমানের ছেলে।
বর্তমানে আরবি নামে তার একটি নার্সারি রয়েছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ফুলের ডালা বিক্রি করেন এবং উপজেলা গেইট সংলগ্ন তার ফুলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
শুরুতে স্বল্পপরিষরে ফুল চাষ করে সুফল মেলে। বর্তমানে সাড়ে ৩বিঘা জমিতে প্রায় ১০ প্রজাতির ফুল চাষ করে সাবলম্বী হয়ে ওঠেন। এগুলোর মধ্যে,সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের বাসন্তী গাদা, রক্তগাদা, গোলাপ (লাল-সাদা), রজনীগন্ধা, গ্লাডিয়াস,জারবেরা ফুল উল্লেখ্য।
তার বাগানে প্রতিদিন ফুলপ্রেমী দর্শনার্থী ভিড় জমান। নানা জাতের ফুলের নয়নাভিরাম সৌন্দর্যে মন জুড়ায় তাদের । সেই সঙ্গে চলে ফুলের সঙ্গে সেলফি তোলাও।
তরুন উদ্যোগতা ফুলচাষী তপু বলেন, অন্য ফসলের তুলনায় ফুল চাষে উৎপাদ খরচ কম লাভ বেশি। প্রায় ২২ শতক জমিতে বারোমাসি গাঁদা ফুল ধরেছে নার্সেরি থাকে ফুল প্রতি ১টাকা ও পাইকারী ৭৫ পয়সা দরে বিক্রি করি। চলতি মাসে প্রথম সপ্তাহে সাড়ে ৮ হাজার ও দ্বিতীয় সপ্তাহে ৭ হাজার টাকা বিক্রি করি। প্রতিটি ফুলের চাড়া বিক্রি করি ২০টাকা দরে।
কৃষি বিভাগ থেকে সাড় কীটনাশক সহ সার্বক্ষনিক পরামর্শ পেয়েছি। তিনি আরো বলেন সঠিক পরিচর্যা করলে বছরে বিঘাপ্রতি ২লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দিতে প্রথম ফুলের নার্সারি শুরু করেছে মো. জাহিদ হাসান তপু। আমাদের কৃষি বিভাগ থেতে তার নার্সারিতে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। আমরা তার সাফল্য কামনা করি।