গতকাল রোববার ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দীর্ঘ প্রচার প্রচারণা শেষে ভোট প্রদানের অপেক্ষায় ভোটাররা। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তায় প্রস্তত রাখা হয়েছে ভোট কেন্দ্র গুলো।
নির্বাচনে যে কোন ধরণের নাশকতা ঠেকাতে মাঠে প্রস্তত রয়েছেন পর্যাপ্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এদিকে আজ শনিবার সকালে কাহালু উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে উপজেলার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনি সামগ্রী প্রেরণ করা হয়েছে। নির্বাচনি কর্মকর্তার নিকট থেকে ভোট কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসারগন এসব নির্বাচনি সামগ্রী গ্রহন করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সহায়তায় ভোট কেন্দ্র গুলোতে রওনা দেন। গতকাল শুক্রবার সকাল ৮ টায় থেকে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের নির্বাচনি প্রচার প্রচারণা শেষ হয়েছে। ভোট গ্রহনের জন্য প্রস্তত কাহালু উপজেলার ৬৫ টি ভোট কেন্দ্র।
নির্বাচনে ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারে সে জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুুতি গ্রহন করা হয়েছে। এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠানে বগুড়ার কাহালুতে উপজেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুুতি সম্পন্ন করেছে। ভোট গ্রহনের জন্য উপজেলার ৯ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর সভায় মোট ৬৫টি ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এসব ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহনে ইতিমধ্যে ৮ শ প্রিজাইডিং অফিসার সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার ও পুলিং অফিসার নিয়ােগ দেয়া হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে গ্রহনযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে এবারেই প্রথম বারের মতো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তায় ভোট কেন্দ্র গুলোতে ব্যালট পেপার প্রেরণ করা হবে ভোটের দিন সকালে। ভোটের অন্যান্য সামগ্রী ভোটের আগের দিন আজ শনিবার প্রেরণ করা হয়েছে। সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহন করা হবে। নির্বাচনে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে ৩ ডিসেম্বর হতে সশস্ত্র বাহিনী মাঠে নেমেছেন। এছাড়া ভোটের দিন আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় ও ভোটের পরিবেশ সুন্দর রাখতে বিজিবি, র্যাব, ও পুলিশ, বিভিন্ন পর্যায়ের গোয়েন্দা সংস্থা, আনসার সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পুরো নির্বাচনি এলাকার কঠোর নিরাপত্তায় মাঠে রয়েছেন ।
ইতিমধ্যে নির্বাচনি এলাকা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলেছে। যে কোন ধরণের সহিংসতা ও নাশকতা ঠেকাতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। আগামীকাল ৭ জানুয়ারি রোববার এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কাহালু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মেরিনা আফরোজ জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তি পূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্ততি গ্রহন করা হয়েছে। নির্বাচনের দিন যে কোন অনাকাংখিত ঘটনার মোকাবেলায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নির্বাচনি মাঠে ৩ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট,২ জন বিচারিক ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। একই সাথে স্ট্রাইকিং ফোর্সের টিম নির্বাচনি এলাকায় কঠোর নজরদারিতে টহলরত থাকবেন। এদিকে ভোট কেন্দ্র গুলোতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একজন এস আই এর নেতৃত্বে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ, আনসার সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবেন বলে জানান, কাহালু ও নন্দীগ্রাম থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত এ সার্কেল মোঃ ওমর আলী ও কাহালু থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ সেলিম রেজা। তবে কাহালুতে কোন ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র চিহ্নিত করা না হলেও সবকটি কেন্দ্রে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ নজরদারি রয়েছে বলে জানানো হয়। বগুড়া -৪ কাহালু - নন্দীগ্রাম আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৪ জন। এর মধ্যে পূরুষ ১ লাখ ৭১ হাজার ৩ শত ৩৮ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৭৩ হাজার ১৭০ জন।
এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের হিজড়া ভোটার রয়েছে ৬ জন। এ নির্বাচনে ৩ জন দলীয় প্রতীকে ও ৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন বর্তমান সংসদ সদস্য ১৪ দলীয় জোটের (নৌকা) প্রতীকের প্রার্থী বগুড়া জেলা জাসদের সভাপতি একেএম রেজাউল করিম তানসেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে( ঈগল) প্রতীকে ডাঃ জিয়াউল হক মোল্লা, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির (ডাব) প্রতীকে মোঃ আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম, জাতীয় পার্টির মোঃ শাহিন মোস্তফা কামাল ফারুক (লাঙ্গল) প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মোশফিকুর রহমান কাজল (ট্রাক) প্রতীকে ও গণতন্ত্র পার্টির হতে ইন্জিনিয়ার মন্জুরুল ইসলাম (কবুতর) প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।