ফরিদপুরের মধুখালীর পঞ্চপল্লীর একটি কালীমন্দিরে আগুনের ঘটনায় গুজব ছড়িয়ে এলাকায় মানুষদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি করে ওই এলাকার একটি স্কুলের নির্মাণ শ্রমিকদের গণপিটুনি দেওয়া হয়। এ গণপিটুনিতে নির্মাণ শ্রমিক দুই ভাই নিহত হন ও আহত হন পাঁচজন।
মন্দিরে অগ্নিকাণ্ড, গণপিটুনিতে হত্যা এবং পুলিশের কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম সাংবাদিকদের এতথ্য জানান।
তিনি আরও বলেন, ওই এলাকাসহ জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা পুলিশের পাশাপাশি এপিবিএন এর ২শ অফিসার-ফোর্স এবং আরআরএফ এর ১৫১ জন অফিসার-ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশের পাশাপাশি চার প্লাটুন বিজিবি ও র্যাব-১০-এর দুটি মোবাইল টিম মোতায়েন রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাউদ্দিন, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান, জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) তুহিন লস্করসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৭টার দিকে ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী এলাকার একটি কালী মন্দিরে আগুন দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে নির্মাণ শ্রমিকদের গণপিটুনি দিলে দুইজন নিহত হন। এসময় আহত হন আরও পাঁচজন নির্মাণ শ্রমিক।