খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) কর্তৃপক্ষ কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য নগরীর ১৪১টি স্পট নির্ধারণ করেছে এবং পবিত্র ঈদুল আজহায় নগরবাসীকে নির্ধারিত স্থান ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করেছে।
কেসিসি কর্মকর্তারা আজ জানান "স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনা অনুসারে, আমরা কেসিসির ৩১টি ওয়ার্ডের অধীনে নির্ধারিত ১৪১টি স্পটে কোরবানির পশু জবাইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছি। স্পটগুলির তালিকা ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) গত সপ্তাহে পাঠানো হয়েছে।
আলাপকালে কেসিসির ভেটেরিনারি অফিসার ডাঃ পেরু গোপাল বিশ্বাস বলেন, নগরবাসীর উচিত এই ১৪১টি নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি করা।
তিনি বলেন, উদ্যোগ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) ৩১টি ওয়ার্ডের প্রত্যেকটিতে মোট ৬ হাজার থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা বিতরণ করা হবে।
চিফ কনজারভেন্সি অফিসার ইঞ্জি. মো: আনিসুর রহমান জানান, ঈদের দিন রাত ৮টার আগে কেসিসির অন্তত ৬৭টি গাড়ি কোরবানির পশুর ময়লা-আবর্জনা অপসারণে নিয়োজিত থাকবে পশুর আবর্জনা অপসারণের জন্য কেসিসির মোট ১৬ টি ইউনিট মোতায়েন করা হবে এবং প্রতিটি ইউনিট দুইটি ওয়ার্ডের জন্য কাজ করবে।
কেসিসি বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য ৪০০০ কেজি ব্লিচিং পাউডার ও ৪০০ লিটার স্যাভলন সরবরাহ করবে। তিনি বলেন, "সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ঈদুল আজহার তিন দিন আগে থেকে একটি প্রচারাভিযান চালানো হবে যাতে মানুষ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত স্থানে তাদের কোরবানির পশু জবাই করতে উৎসাহ বোধ করে।"
ঈদের দিন কোরবানির পশু জবাই করার জন্য নির্ধারিত স্থানে কসাই, পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং একজন 'ইমাম' থাকবে নগরীতে পরিবেশবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে কোরবানির ঈদ থেকে দুই দিন পশুদের আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য কেসিসির কর্মীরা মোতায়েন থাকবে।