এর আগেই আগুনে দোকানগুলোর মালামাল ভষ্মিভূত হয়ে গেছে। পুড়ে যাওয়া দোকানের মধ্যে হার্ডওয়ার, প্লাস্টিক ও কাপড়ের দোকান রয়েছে।
কিভাবে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে তা ক্ষতিয়ে দেখছে ফায়ারসার্ভিস।
এদিকে আগুনে পুড়ে দোকানগুলো ছাই হয়ে যাওয়ার ঘটনায় ঘটনাস্থল পৌঁছতে ফায়ারসার্ভিসের সময়ক্ষেপণকে দায়ী করেছে দুইজন ব্যাবসায়ী ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুর রহমান স্বপন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ফজরের নামাজের পরপরই বাজারের দক্ষিণ পাশে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এর পরপরই ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের লোকজন সময়মতো আসেন নি। এরমধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগেই আগুনে ১৫ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
চররমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুর রহমান স্বপন ও স্থানীয় দুইজন ব্যবসায়ী বলেন, কল দেওয়ার ১ ঘন্টা পর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থল এসেছে। অথচ ফায়ার সার্ভিস কার্যালয় থেকে ঘটনাস্থলের দূরত্ব মাত্র ১১ কিলোমিটার। এছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থাও উন্নত। তাদের সময়ক্ষেপণের কারণেই ১৫ টি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আরও আগে আসলে ক্ষয়ক্ষতি কম হতো।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপ-পরিচালক আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা ৬ টা ২০ মিনিটে কল পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পৌঁছি। এরমধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কাপড়ের দোকান বেশি হওয়ায় আগুনের লেলিহান শিখার মাত্রা বেশি ছিল। আমাদের ৩ টি ইউনিট প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা হচ্ছে।