নির্বাচনী প্রচারে থাকা ওই প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ট্রাম্পের বক্তব্যে শুরু হওয়ার ৫ থেকে ৭ মিনিট পর একজন ব্যক্তিকে একতলা বাড়ির ছাদের ওপর হামাগুড়ি দিতে দেখি। তখন তার সাথে একটি রাইফেলও ছিল। এ বিষয়টি তিনি ও তাঁর বন্ধুরা নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক করার আগেই ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকেন ওই হামলাকারী। তবে কয়েক মিনিটের মধ্যেই হামলার ঘটনা ঘটে যায়।

এ ঘটনার পর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ অন্যান্য নেতারা। 

হামলার পরে সিক্রেট সার্ভিস এক বিবৃতিতে জানায়, পেনসিলভানিয়ার বাটলারে স্থানীয় সময় শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের মঞ্চ লক্ষ্য করে সন্দেহভাজন হামলাকারী একাধিক গুলি ছুড়েছেন। তিনি সমাবেশস্থলের বাইরে থেকেই হামলা চালান। 

এতে মঞ্চের সামনে দর্শকসারিতে থাকা একজন নিহত হন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। গুলিতে ট্রাম্পের ডান কানের ওপরের অংশে ফুটো হয়ে গেছে। সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যদের গুলিতে সন্দেহভাজন হামলাকারী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন।

এদিকে হামলার এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে (এফবিআই) ঘটনাটি অবহিত করেছেন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।