শেরপুরের শ্রীবরদীতে শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকার (ধর্ষণ) চেষ্টার অভিযোগে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠাতা উসমান বিন মঈনদ্দিনের (৪৫) নামে থানায় মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করেন।
অভিযুক্ত উসমান বিন মঈনদ্দিন শ্রীবরদী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ধীয়ারচর গ্রামের মৃত মাইনদ্দিনের ছেলে এবং স্থানীয় আল উসমান কওমি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা-প্রধান শিক্ষক। তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শ্রীবরদী শাখার সাধারণ সম্পাদক।
জানা যায়, ভুক্তভোগী শিশু শিক্ষার্থী (১২) কওমি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করত। গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে উসমান বিন মঈনদ্দিন ওই শিক্ষার্থীকে বিদ্যুতের কাজের জন্য প্লাস ও টেস্টার নিয়ে তাঁর কক্ষে যেতে বলেন। পরে ওই শিক্ষার্থী এসব যন্ত্রপাতি নিয়ে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ঢোকার পর দরজা বন্ধ করে দেয় এবং কৌশলে ওই শিশুকে বলাৎকার (ধর্ষণ) চেষ্টা করে।
এসময় ওই শিক্ষার্থীর ডাক-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আসলে কৌশলে দ্রুত পালিয়ে যান উসমান বিন মঈনদ্দিন। পরে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হলে সোমবার ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে উসমান বিন মঈনদ্দিনের নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, ‘আমার ছেলের সঙ্গে যে অন্যায় করা হয়েছে। জঘন্য এ অন্যায়ের কোনো ক্ষমা নেই। আমি মামলা করেছি। আইনের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত উসমান বিন মঈনদ্দিনের বক্তব্য জানার জন্য তাঁর মাদ্রাসা ও বাড়িতে গিয়ে খোঁজ করে তাঁকে পাওয়া যায়নি। এমনকি অভিযুক্তের মুঠোফোনে কল করলেও বন্ধ পাওয়া যায়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শ্রীবরদী শাখার সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তিনি (সাধারণ সম্পাদক) যে ঘটনা ঘটিয়েছেন, শুনেছি। এর কোনো ক্ষমা নেই। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সঠিকভাবে সংগঠনের কাজ করেননি। আমরা লিখিতভাবে তাঁকে বহিষ্কার করে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে।’