বাংলাদেশ দলের হাই-পারফরম্যান্স ইউনিটের দায়িত্ব নিয়ে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছেন ডেভিড হেম্প। আজ (বুধবার) থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে কাজে যোগ দিয়েছেন বারমুডার সাবেক এই ক্রিকেটার। এদিন প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে নিজের লক্ষ্যের কথাও জানিয়েছেন হেম্প।
মিরপুর শেরে-ই বাংলায় গণমাধ্যমকে হেম্প বলছিলেন, 'আমি কয়েক মাস আগে চন্ডিকার (হাথুরুসিংহে) সঙ্গে কথা বলেছি। যদিও জেমির (সিডন্স) সঙ্গে অবশ্য এখনো কথা বলিনি। কিন্তু শিগগিরই কথা বলবো। এটা আসলে কোনো কোচের ব্যাপার না। এটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের খেলোয়াড়দের ব্যাপার এবং আমরা নিশ্চিত করবো কিভাবে বাংলাদেশ বড় ট্রফির দাবিদার হবে, র্যাঙ্কিংয়ে তিন ফরম্যাটেই ওপরের দিকে থাকবে ও কতজন ক্রিকেটার র্যাঙ্কিংয়ে সেরা দশে আছে সেটি। সবকিছু ঠিক পথে আছে কি না তা নিশ্চিতে সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা হবে এটি।'
হেম্পের লক্ষ্য ক্রিকেটারদের জাতীয় দলে খেলানো, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের যথাযথ উন্নতির দিক চিন্তা করলে এটা (এইচপি) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চেষ্টা করছি খেলোয়াড়দের লক্ষ্য অর্জন করাতে, যা হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলা। আমরা এমন একটা প্ল্যাটফর্ম দেই যেখানে তারা শিখবে এবং বেড়ে উঠবে আর পরবর্তী ধাপ 'এ' দলের জন্য প্রস্তুত হবে। যেখান থেকে তারা মূল জাতীয় দলে যেতে পারবে।'
দলকে আরো শক্তিশালী সঙ্গে গভীরতাও বাড়াতে চান হেম্প, 'কীভাবে আমরা এটা মূল্যায়ন করবো? আমার মনে হয় এই প্রোগ্রাম থেকে কতজন ক্রিকেটার পরের ধাপে পাঠাতে পারলাম সেটা একটা উপায় হতে পারে (মূল্যায়নের)। আমরা নিশ্চিত করতে চাই বাংলাদেশ দল আরও আরও শক্তিশালী হবে। কারণ এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের গভীরতা বাড়ানো হবে।'
হেম্পের চাহিদা ক্রিকেটাররা যেন বিশ্বের সব জায়গায় সব কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে, 'আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি কীভাবে খেলোয়াড়দের প্রস্তুত করবো। কন্ডিশন অনুসারে প্রস্তুতি নিতে উইকেট নিয়ে ভাবতে পারি। চন্ডিকা ও মূল জাতীয় দল কি চাচ্ছে সেটার ওপর ভিত্তি করে এগোনো যায়। বিশেষ করে তারা যে ধরণের ক্রিকেটার চাইবে সে অনুসারে। খেলোয়াড়দের মানিয়ে নেওয়ার ও বেড়ে ওঠার যথেষ্ট সামর্থ্য থাকতে হবে। যে কারণে তারা এখানে। আমরা তাদের উৎসাহী করবো তাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যেতে। আমরা বাংলাদেশের জন্য এমন খেলোয়াড় তৈরি করতে চাই যারা সারা বিশ্বের যে কোনো কন্ডিশনে খেলতে পারবে।'
বাবু/মম