দ্রুত দুই উইকেট পড়ে যাওয়ায় শুরুতে রানের যে গতি ছিল সেটা কমে আসে ভারতের। তারপরেও জুটি গড়ে দলকে ভালো জায়গায় নেওয়ার চেষ্টা করেছেন কোহলি-রাহুল জুটি। কোহলি তো ৭২তম ফিফটিও তুলে নিয়েছেন ৫৬ বলে। শেষ পর্যন্ত ৫৪ রান করে প্যাট কামিন্সের বলে বোল্ড হন কোহলি।
গিলের উইকেট পড়লেও রোহিতের আগ্রাসী ব্যাটিং মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার। সঙ্গে যোগ হন বিরাট কোহলি। তিনিও অজি বোলারদের ওপর চড়াও হতে থাকনে। তাতে ৯ ওভারেই ভারতের স্কোর হয়ে যায় এক উইকেটে ৬৬। তখন উইকেট নেওয়ার জন্য পাওয়ার প্লের মাঝে ম্যাক্সওয়েলকে আনেন কামিন্স। তার দ্বিতীয় ওভারে রোহিত চড়াও হয়েছিলেন।
দশম ওভারটিতে এক ছক্কা ও এক চারে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন ভারতের অধিনায়ক। ওই ওভারেই ম্যাক্সওয়েলের শিকার হন তিনি। ৩১ বলে ৪৭ রান করা রোহিতকে দারুণ এক ক্যাচে তালুবন্দি করেছেন ট্রাভিস হেড। রোহিতের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ৩টি ছয়।
রোহিতকে ফেরানোর পরের ওভারে তাদের আরও চাপে ফেলে দেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। নতুন নামা শ্রেয়াস আইয়ারকে (৪) ব্যাক অব লেংথের ডেলিভারিতে গ্লাভসবন্দি করিয়েছেন। তাতে ৭৬ রানে দুই উইকেট থেকে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ৮১ রানে ৩ উইকেট! তার পর কমে আসে রানের গতি।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা সতর্ক ছিল ভারতের দুই ওপেনারের। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারে হ্যাজলউড আসতেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে নিজের স্বভাবসুলভ ব্যাটিং শুরু করেন ওপেনার রোহিত শর্মা।
স্টার্কের বেলায় শুরুতে যতটা রক্ষণাত্মক খেলেছেন, ততটাই আক্রমণাত্মক ছিলেন হ্যাজলউডের বেলায়। তাতে ৪ ওভারেই স্কোরবোর্ডের জমা হয় ৩০ রান। তবে সঙ্গী শুবমান গিল ছিলেন পুরোপুরি খোলসবন্দি। এ সময় স্টার্কের বলে গিলের ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপে ক্যাচের সুযোগও তৈরি হয়েছে। সেটা কঠিন ছিল যদিও।
তবে পঞ্চম ওভারে স্টার্কের বলে চড়াও হতে গেলে শেষ রক্ষা হয়নি তার। শর্ট লেংথের ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন তিনি। ৪ রানে মিড অনে জাম্পার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন গিল।