মঙ্গলবার ৮ জুলাই ২০২৫ ২৪ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার ৮ জুলাই ২০২৫
বাদাম গাছের সবুজ পাতায় ছেয়ে গেছে যমুনা চরাঞ্চল
কোরবান আলী তালুকদার, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল)
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৪, ১:৫৩ PM আপডেট: ১১.০১.২০২৪ ৩:০৭ PM
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার যমুনার পানি শুকিয়ে জেগে উঠেছে অসংখ্য বালুচর। আর এই জেগে উঠা ধুধু বালুচরে বাদামের চাষ করেছে চরাঞ্চলের কৃষকেরা। ইতিমধ্যে বাদাম গাছের সবুজ পাতায় ছেয়ে গেছে পুরো বালুচর। এখানকার চরাঞ্চলের বেলে মাটি বাদাম চাষের জন্য খুবই উপযোগী। তাই চরাঞ্চলের কৃষকরা তাদের বেলে মাটির জমিতে বাদাম চাষ করছেন। গত বছর বাদামের বাম্পার ফলন হওয়ায় এবং বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় এ বছর আরো অধিক পরিমাণ জমিতে বাদাম চাষ করছেন চাষিরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার গোবিন্দাসী, অর্জুনা ও গাবসারা ইউনিয়নের চরতারাই, চরভরুয়া, বলরামপুর, কুঠিবয়ড়া, রায়ের বাসালিয়া, রামাই, বাসিদকল, রুলিপাড়া, গোবিন্দপুর, রামপুর, ডিগ্রিরচর ও কোনাবাড়ী চরাঞ্চলে বাদাম গাছের সবুজ পাতায় ডেকে গেছে বালুচর।

বাদাম চাষিরা বলেন, প্রতি বছর বন্যায় আমাদের অনেক ক্ষতি হয়। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে আমরা বন্যা পরবর্তী সময়ে জেগে উঠা চরে বাদাম চাষ করি। কারণ অল্পদিনে বাদাম চাষ করে অধিক লাভবান হওয়া যায়। খরচ বাদ দিয়ে বিঘাপ্রতি লাভ হয় প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা।

গাবসারা চরাঞ্চলের বাদাম চাষি গফুর মিয়া বলেন, গত বছর আমি ৮ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করে ভালো লাভবান হয়েছিলাম। বাদামের দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর আমি প্রায় ১২ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছরেও বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।

সুস্বাদু, মুখরোচক ও ভিটামিন সমৃদ্ধ এই ফসল একদিকে যেমন খাদ্যে যোগান দিয়ে থাকে অন্যদিকে তেলের চাহিদা পূরণ করে। বাদাম ক্ষেত থেকে কচিপাতা কেটে কৃষকরা তাদের গরু-ছাগলের খাওয়ান। এতে গরু-ছাগল তাড়াতাড়ি স্বাস্থ্যবান হয়। তাছাড়া অন্য ফসলের মতো বাদামের জমিতে তেমন একটা সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না। শুধু সময়মতো বীজ বুনে বাদাম ঘরে তোলার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয়। বীজরোপণে দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই বাদাম তুলে সংগ্রহ ও হাট-বাজারে বিক্রি করা হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আরিফুর রহমান জানান, চলতি বছর যমুনা চরাঞ্চলে ১ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চরাঞ্চলের বাদাম চাষিদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বাদামের বীজ বিতরণ করেছি। বাদামের ফলন ভালো করার জন্য  আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। আশা করি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বিগত বছরগুলোর চেয়ে এ বছর বাদাম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত