দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইলের দু’টি আসনে ১৫ প্রার্থীর মধ্যে ১৩ জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। এই দু’টি আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন। জামানত বাজেয়াপ্ত প্রার্থীদের মধ্যে ৯ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এবং চার জন স্বতন্ত্র। নড়াইল-১ আসনে নৌকার প্রার্থী বি এম কবিরুল হক মুক্তির প্রতিদ্ব›দ্বী ছিলেন ৬ প্রার্থী। নড়াইল-২ আসনে নৌকার প্রার্থী মাশরাফি বিন মুর্তজার প্রতিদ্ব›দ্বী ছিলেন ৭ জন।
নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী, মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের কম ভোট পেলে সেই প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার ঘোষিত ফলে দেখা যায়, নড়াইল-১ আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৫ হাজার ৪০৩ জন। এর মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩২৬ জন। বৈধ ভোটের ১ লাখ ৪৩ হাজার ১৬৫টি। বাতিলকৃত ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ১৬১ ভোট। আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিএম কবিরুল হক মুক্তি পেয়েছেন ১ লাখ ৩৪ হাজার ২১৫ ভোট। তিনি প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীর চেয়ে এক লাখ ৩০ হাজার ৪৫২ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। বাকি ছয় প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টির মিলটন মোল্যা লাঙ্গল প্রতীকে ৩ হাজার ৭৬৩ ভোট,স্বতন্ত্র প্রার্থী চন্দনা হক ঈগল প্রতীকে ৮৮১ ভোট,বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম হাতুড়ী প্রতীকে ২ হাজার ১৯৭ ভোট,তৃণমূল বিএনপির শ্যামল চৌধুরী সোনালি আঁশ প্রতীকে ৫৬৩,জাতীয় পার্টি (জেপি)’র শামীম আরা পারভীন বাইসাইকেল প্রতীকে ৫১৫ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী সিকদার মো.শাহাদাত হোসেন মাথাল প্রতীকে ১হাজার ৩১ ভোট পেয়েছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী চন্দনা হক গত ১৯ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী স্বামী বি এম কবিরুল হক মুক্তিকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে যান।
নড়াইল-২ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭২৯ জন। এর মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ২ লাখ ৩ হাজার ২১১ জন। বাতিলকৃত ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৪২৫ ভোট। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাশরাফি বিন মুর্তজা ১ লাখ ৮৯ হাজার ১০২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীর চেয়ে এক লাখ ৮৫ হাজার ৬১ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। বাকি সাত প্রার্থীর মধ্যে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি মনোনীত সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান হাতুড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৪১ ভোট, জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট খন্দকার ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ লাঙ্গল প্রতীকে ১ হাজার ৯০৯ ভোট,ইসলামী ঐক্যজোটের মো.মাহাবুবুর রহমান মিনার প্রতীকে ১ হাজার ৮৫৩ ভোট,ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) জেলা সভাপতি মো.মনিরুল ইসলাম আম প্রতীকে ৫৮০ ভোট,গণফ্রন্টের মোঃ লতিফুর রহমান মাছ প্রতীকে ৫৮২ ভোট,স্বতন্ত্র প্রার্থী লায়ন মো. নূর ইসলাম ঈগল প্রতীকে ১ হাজার ৩৬৩ ভোট,স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু ট্রাক প্রতীকে ৩৫৬ ভোট পেয়েছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু গত ৩ জানুয়ারি মাশরাফি বিন মুর্তুজাকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে যান।