মঙ্গলবার ৮ জুলাই ২০২৫ ২৪ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার ৮ জুলাই ২০২৫
নড়াইলে অনলাইন প্রতারণার অভিযোগে দু’জন গ্রেফতার
লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৪, ৪:২১ PM
অনলাইন প্রতারণার অভিযোগে ২টি বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধন ট্যাব, ১২৬টি অবৈধ সিম, ৩টি মোবাইল ফোনসেট, ২টি ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানারসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে নড়াইল ডিবি পুলিশ।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাতে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার যাদবপুর বাজার এবং খুলনার রুপসা পশ্চিমঘাট এলাকা থেকে  তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত হলো-কালিয়া উপজেলার কলামনখালী গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে মো. সবুুজ শেখ (৩৫) ও খুলনা সদরের ট্রাফিক মোড় এলাকার আবুুল কালাম শেখের ছেলে মো. মাহফুুজুর রহমান (২৩)।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপার মো. মেহেদী হাসান নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের জানান, পূর্বে গ্রেফতার হওয়া প্রতারক চক্র ‘ডিএসএলআর ক্যামেরা বাজার ষ্টোর’ নামে অনলাইন পেইজে ক্যামেরা বিক্রির কথা বলে নড়াইল শহরের ভওয়াখালী এলাকার তৈয়ব আলী মোল্লার নিকট থেকে অগ্রিম ৫ হাজার টাকা নেয়। অগ্রিম টাকা পাওয়ার পরও প্রতারক চক্র বিভিন্ন ছলচাতুরী করে ক্রেতাকে ফাঁদে ফেলে আরো ২০হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রেস ব্রিফিং এ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো. আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী, নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

ভূক্তভোগী তৈয়ব আলী মোল্লা (৩৬) গত ২০২৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এ ব্যাপারে নড়াইল সদর থানায় মামলা দায়ের  করেন। ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলী হোসেন তথ্য প্রযুুক্তির সহায়তায় মামলার দুই আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেন। গ্রেফতার হওয়া আসামীদের দেয়া তথ্য মতে প্রতারণার কাজে ব্যবহার হওয়া অন্যের নামে নিবন্ধিত মোবাইল সিম বিক্রেতাকে আটকের জন্য পুলিশ অভিযানে নামে। 

নড়াইল সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল ও ডিবি পুলিশ বুুধবার রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে অবৈধ সিম বিক্রির সময় যাদবপুর বাজার থেকে ৯০টি সিমসহ মো. সবুজ শেখকে এবং এবং খুলনার রুপসা পশ্চিমঘাট এলাকা থেকে ২টি বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধন ট্যাব, ২টি ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার,৩টি মোবাইল সেট ও ৩৬টি অবৈধ সিমসহ মাহফুুজুর রহমানকে গ্রেফতার করে। সবুজ শেখ প্রতিটি সিম মাহফুজুর রহমানের নিকট থেকে ৬’শ টাকা দিয়ে কিনে ১ হাজার পাঁচশত টাকায় কালিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করতো বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে তারা। 

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত