মঙ্গলবার ৮ জুলাই ২০২৫ ২৪ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার ৮ জুলাই ২০২৫
কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ভোগান্তি
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: শুক্রবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৪, ৫:৩৫ PM আপডেট: ১২.০১.২০২৪ ৫:৪১ PM
কমলনগর উপজেলার তিন লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসা কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স । অসহায় ও গরিব লোকজন এ হাসপাতাল থেকে সেবা নিয়ে থাকেন।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য গত তিন মাস ধরে হাসপাতালের দুটি ভবনের একটি ভবন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। রাতে রোগীরা থাকেন ঘোর অন্ধকারে। দিনে জানালার ফাঁকের বাহিরের আলো, রাতে মোমবাতি ও মোবাইলের আলো দিয়ে চলছে রোগীদের চিকিৎসা।দীর্ঘ তিন মাস ধরে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে নার্স-ডাক্তারগণও এ অবস্থায় রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা-সেবা দেওয়া ঝুঁকি মনে করছেন।

এদিকে বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে ১০ কেভির একটি জেনারেটর ব্যবস্থা থাকলেও তা জ্বালানির খরচ সংকটের কথা বলে চালানো হচ্ছেনা।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দ্বীতল দুইটি (জয়েন্ট) ভবনে রোগীদের সেবায় ৫০ শয্যার কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এরমধ্যে উত্তর পাশের (ইওসি) ভবনটির ৫টি কক্ষে ১৭টি শয্যায় বেশ কয়েকজন রোগী ভর্তি রয়েছেন। পাশের ভবনে বিদ্যুৎ থাকলেও ওই ভবনটি অন্ধকার। ভর্তি থাকা কয়েকজন রোগী তাদের শয্যার পাশে মোমবাতি জ্বালিয়ে রেখেছেন। 

রোগীদের মধ্যে দুই মাসের শিশু আবিরের ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে ভর্তি থাকা উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের  বাসিন্দা তাছলিমা আক্তার ও ৬ বছরের শিশু লামিয়ার পেটের ব্যথা নিয়ে ভর্তি হওয়া চরলরেন্সের বাসিন্দা ছকিনা বেগম প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করে বলেন, আমরা অসহায় গরীব মানুষ। কম টাকায় সরকারিভাবে সেবা পেতে এখানে এসেছি। রুমের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকায় অন্ধকারে মোমবাতির আলোতে শিশু বাচ্ছাদের নিয়ে খুবই কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। অন্যদিকে কারেন্ট চলে গেলে বিকল্প হিসেবে হাসপাতালে জেনারেটরের ব্যবস্থা থাকলেও তা চালানো হচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেন তারা। 

এদিকে, ভবনটির নিচতলয় দুইটি কিচেন রুম, দুই রুম বিশিষ্ট সভাকক্ষ, স্বাস্থ্য পরিদর্শকের কক্ষ, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ, গুদাম রক্ষকের কার্যালয়, সেকমো ডাক্তার, টিকাদান কেন্দ্র এবং দ্বিতীয় তলায় গর্ভবতী মায়ের অবজারভেশন কক্ষ, প্রসূতি বিভাগ (লেবার রুম) রিজার্ভ ওয়ার্ড সহ ১৭টি বেডে দীর্ঘ তিন মাস ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে হাসপাতালে কর্মরত মেডিকেল অফিসারেরা জানান, হাসপাতালের কয়েকটি বিভাগ থেকে অনেক নগদ আয় হয়। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইচ্ছে করলে হাসপাতালের সে আয় থেকে মেরামতের বাজেট আসার আগ পর্যন্ত বিকল্প সংযোগ চালু করতে পারতেন।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার আবু তাহের পাটোয়ারী জানান, বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে পুরো ভবনটির বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ পুড়ে যায়। সংযোগটি নতুনভাবে মেরামতের জন্য ব্যয়বহুল খরচের প্রয়োজন হওয়ার কারণে তা চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট (এইচইডি) নোয়াখালি বরাবর খরচের চাহিদা চেয়ে পরপর তিনটি আবেদনপত্র পাঠানোা হয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই সংযোগটি নতুনভাবে চালু করা সম্ভব হবে। 

এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আহমেদ কবিরের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোনকল করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। 


« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত