নড়াইলের লোহাগড়ায় জমাজমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে অন্তত ৬টি মিথ্যা মামলায় সন্তানসহ স্বজনদের হয়রানি করবার প্রতিবাদে মায়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভূক্তভোগী সন্তানরা ও স্বজনে শনিবার (২০ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় নিজ বাড়িতে প্রতিকার চেয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জয়পুর ইউনিয়নের মৌলভী ধানাইড় গ্রামের মৃত গনজের আহম্মেদ ভূঁইয়ার ছেলে মোঃ তারেক আহম্মেদ ও মেহেদি হাসান অভিযোগ করেন, আমার পিতা ছিলেন একজন বাকপ্রতিবন্দি। আমার মা ডালিয়া বেগম আমার পিতার কাছ থেকে কৌশলে ৬০ শতাংশ জমি লিখে নেন। পরর্বতীতে ওই জমি তিনি আমাদের আরেক ভাই ফরিদ ভূঁইয়ার দুই ছেলে সিহাব ও আলিনুরকে লিখে দেন। আমার মা আমার পিতাকে বিষ খাইয়ে হত্যা করেছে।
এ পর্যন্ত আমার মা আমাদের নামে ৬টি মামলা দায়ের করেছেন। মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত ৫টি মামলা খারিজ করেছে। সর্বশেষ গত ১৪ জানুয়ারি আমার মা আমাদেরকে আসামী করে নড়াইল আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। মোঃ তারেক আহম্মেদ অভিযোগ করেন, আমি পরিবারসহ ঢাকাতে বসবাস করি। গত ১২ জানুয়ারি স্বপরিবারে ঢাকাতেই ছিলাম। অথচ মারপিটের মিথ্যা অভিযোগ এনে আমার মা আমিসহ আমার স্ত্রী লাইলি বেগম ও ভিকারুন নেছা নূন স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া কন্যা তানিয়া ইসলামের নামে মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলায় আমার ছোট ভাই মেহেদিকেও আসামী দেয়া হয়েছে। মূলত আমার মা তার ছেলে ফরিদের প্ররোচনায় আমাদেরকে নানাভাবে হয়রানি করছে।
ভূক্তভোগী মোঃ তারেক আহম্মেদ ও মেহেদি হাসান আরো অভিযোগ করেন, বর্তমানে আমাদের দুটি পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। আমাদেরকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। ফরিদ ও তার দুই ছেলে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। আমার মা ফরিদের সাথে যোগসাজগে আমাদের হয়রানি ও হত্যার পরিকল্পনা করছে।
মৌলভী ধানাইড় গ্রামের মিরাজ ভূঁইয়া, জাকারিয়া ও হাবিব সহ অন্যরা মিথ্যা মামলায় হয়রানির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। অভিযুক্ত ফরিদের পরিবার ও তার মায়ের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।
ভূক্তভোগী মোঃ তারেক আহম্মেদ ও মেহেদি হাসান প্রশাসনের কাছে সঠিক তদন্ত দাবি করেছেন। মিথ্যা মামলা, হুমকি ও হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে তারা সচেতন মহলেরও সহযোগিতা চান।