সোমবার ৭ জুলাই ২০২৫ ২৩ আষাঢ় ১৪৩২
সোমবার ৭ জুলাই ২০২৫
কেন্দুয়ায় ২০২২ সাল থেকে ২০২৩ সালের অস্বাভাবিক মৃত্যুর হার কম
কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: শনিবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৪, ৬:১৫ PM
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের অস্বাভাবিক মৃত্যুর হার কমেছে বলে জানিয়েছেন কেন্দুয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.এনামুল হক। 

শনিবার (২০ জানুয়ারী) দুপুরে কেন্দুয়া থানার ওসির সাথে কথা হলে তিনি এসব কথা জানান। 

ওসি কাছে মৃত্যুর সংখ্যা কম কিংবা কেনইবা এরকম মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে এরকম প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, দিন দিন মানুষ সচেতন হচ্ছে, এজন্য মৃত্যুর হার কমছে পাশাপাশি মৃত্যুর ঘটনা বেশি হচ্ছে শিশু ও নারীদের মধ্যে, তারা বেশি আবেগপ্রবণ হওয়ায়, আত্নহত্যার ঘটনা তারাই বেশি ঘটাচ্ছে। আত্নহত্যা একটি অপরাধ, আর এসব অপরাধ দমনে আমরা বিট পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে উঠান বৈঠক ও কাউন্সলিং করে জনসচেতনতামুলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। যার কারণে এ সংক্রান্ত অপরাধ কমে এসেছে। আশা করি অভিভাবকরা সচেতন হলে আত্নহত্যা ও পানিতে ডুবে মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে। তিনি আরো বলেন, ডিআইজি  ও এসপি মহোদয়ের সঠিক দিক নির্দেশনায় আমাদের এসংক্রান্ত জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত আছে। বর্তমান বছরে অস্বাভাবিক মৃত্যুর হার আরো কমবে বলে তিনি জানান। 

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোনা জেলার মধ্যে কেন্দুয়া উপজেলা একটি অন্যতম বৃহত্তর উপজেলা। বৃহত্তর উপজেলা হওয়ার ফলে অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে বেশি। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত (গত ১বছর) ৫০টি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বেশির ভাগ অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার মধ্যে রয়েছে আত্নহত্যা ও পানিতে ডুবে মৃত্যু। তাছাড়া অস্বাভাবিক মৃত্যুর মধ্যে রয়েছে খুন, সড়ক দূর্ঘটনা, বিষপানে আত্নহত্যা ও বিদ্যুৎ পৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু।

২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ ছাড়া সর্বক্ষেত্রে অস্বাভাবিক মৃত্যুর হার কমেছে।

২০২৩ সালে হত্যাকাণ্ডের ৭জন, গলায় ফাঁস লাগিয়ে ১২জন,বিষ পানে ২জন, বিদ্যুৎপৃষ্ঠ ৯জন, পানিতে ডুবে ১৭জন, অজ্ঞাত কারণে ১জন এবং সড়ক দূর্ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হলেও থানায় রেকর্ডভুক্ত হয়নি।

২০২২ সালে হত্যাকান্ডে ৮জন, গলায় ফাঁসে ২৭জন, বিষ পানে ৩জন, বিদ্যুৎপৃষ্ঠ ৭জন,পানিতে ডুবে ২৪জন, অজ্ঞাত কারণে ৬জন ও সড়ক দূর্ঘটনায় ২জনের মৃত্যু থানায় রেকর্ড হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ফাঁস লাগিয়ে মৃত্যুর মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থী থেকে অল্প বয়সী নারী ও পুরুষ। আর পানিতে ডুবে মৃত্যুর মধ্যে রয়েছে শিশুরা।
কেন্দুয়া উপজেলা থেকে বিষপান ও ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আক্রান্ত হয়ে শতাধিক নারী পুরুষ চিকিৎসা নিয়েছেন।এদের মধ্যে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী সহ অল্পবয়সী গৃহবধূর সংখ্যা বেশি। কেন্দুয়া পৌরসভা সহ কান্দিঊড়া,চিরাং,মাসকা,সান্দিকোনা, গড়াডোবা ও বলাইশিমুল ইউনিয়নে এজাতীয় রোগীর সংখ্যা বেশি।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত