লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় শশুর বাড়িতে যাওয়ার পথে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে শ্রমিকলীগ নেতা মো: জোবায়েরের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের ৮ দিন অতিবাহিত হলেও ধর্ষক গ্রেফতার না হওয়ায় চরম আতঙ্ক ও হুমকির মধ্যে আছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূর পরিবার। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অন্যদিকে, ঘটনার সাথে তার নাম জড়ানো ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন শ্রমিকলীগ নেতা জোবায়ের।
শনিবার দুপুরে রামগতির চর আলগী ইউনিয়নের চর সেকান্তর শ্রমিকলীগ নেতা জোবায়েরের ব্যক্তিগত অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত জোবায়ের রামগতি উপজেলা শ্রমিকলীগের সদস্য সচিব ও চর সেকান্তর ২ নং ওয়ার্ডের খুরশিদ মাওলানা বাড়ির মৃত খুরশিদ মাওলানার ছেলে।
জানা যায়, ঘটনার এক সপ্তাহ আগে গৃহবধূ তার বাপের বাড়িতে বেড়াতে যায়।ঘটনার দিন গৃহবধূ তার বাপের বাড়িতে থাকা অবস্থায় শনিবার (২০ জানুয়ারি) হঠাৎ শাশুড়ীর অসুস্থতার খবর পেয়ে বাপের বাড়ি থেকে শশুর বাড়িতে রওয়ানা হয়। পথিমধ্যে চর সেকান্তরে অভিযুক্ত জোবায়েরের বাড়ি ও তার অফিসের কাছে আসলে গৃহবধূর পথ রোধ করে শ্রমিক লীগ নেতা জোবায়ের ও তার সহযোগী শাহাদাত। এরপর জোবায়ের তার ব্যক্তিগত অফিসে নিয়ে গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং তার সহযোগী শাহাদাত বাহিরে পাহারাদারের ভুমিকা পালন করে।
নির্যাতিত গৃহবধূ বলেন,শনিবার দুপুরে আমার শাশুড়ির অসুস্থতার খবর পেয়ে শশুরবাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাপের বাড়ি থেকে বের হই। পথিমধ্যে জোবায়ের ও শাহাদাত আমাকে জোরপূর্বক রাস্তা থেকে তুলে তার অফিসে নিয়ে যায়। পরে শাহাদাত অফিস রুম থেকে বের হয়ে বাহিরে পাহারা দিতে থাকে। জোবায়ের রুমের ভিতরে জোরপূর্বক আমাকে ধর্ষণ করে এবং ঘটনা কাউকে না বলার জন্য আমাকে হুশিয়ার করে দেয়। আমি এর বিচার চাই।
অভিযুক্ত রামগতি উপজেলা শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব মো:জোবায়ের বলেন,এলাকার ২ যুবক মিজান ও শাহাদাত গৃহবধূকে তুলে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে শুনেছি।বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করেছি।অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় মিমাংসা করা সম্ভব হয়নি।যে কারণে গৃহবধূ উল্টো আমার কথা বলছে। এ ঘটনার সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেয় করার জন্য একটা পক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে এটা নতুন নয়।
রামগতি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ঘটনা সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।