নড়াইলের নড়াগাতী থানার ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় মাহবুবুর রহমান ওরফে মাহাবুব শেখকে (৬২) গ্রেফতার করেছে নড়াগাতি থানা পুলিশ। বুধবার (৭ ফেব্রæয়ারি) দুপুরে গোপালগঞ্জ সদর থানার শুকতাইল গ্রামে মাহাবুবুর আপন ভাই বাকীবিল্লাহ শেখের বসতবাড়ি হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে নড়াগাতি থানার চোরখালী গ্রামের মৃত শেখ আবু আলেম ওরফে ধলন শেখের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৪ ফেব্রæয়ারি দুপুর দুইটার দিকে নড়াগাতী থানার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে টিফিনের জন্য বাড়িতে যাওয়ার পথে জনৈক আরিফের বাড়ির পূর্ব পাশে রাস্তার উপর পৌঁছালে ধর্ষক মাহাবুবুর রহমান শিশুটিকে জোরপূর্বক তার জামাতা রানা শেখের পরিত্যক্ত একচালা ঘরের মধ্যে নিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এ সময় ভিকটিমের ডাক চিৎকারে ঘটনাস্থলের পার্শ^বর্তী লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে আসামি ভিকটিমকে বিবস্ত্র অবস্থায় রেখে দ্রæত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ভিকটিমকে উদ্ধার করে দ্রæত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে গতকাল ৬ ফেব্রæয়ারি ভিকটিমের মা বাদী হয়ে নড়াগাতি থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়ের পর পুলিশ সুপার মোহাঃ মেহেদী হাসানের নির্দেশে আসামি গ্রেফতারের জন্য নড়াগাতি থানার একটি চৌকস টিম ও সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল মাঠে নামে। এরই ধারাবাহিকতায় কালিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার সরকারের তত্ত¡াবধানে নড়াগাতি থানার অফিসার ইনচার্জ মো.মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই মাহবুবুর রহমান, এসআই নয়ন বিশ্বাস, এসআই মফিজ মোল্লা সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে আজ দুপুরে গোপালগঞ্জ সদর থানার শুকতাইল গ্রামে আসামি মাহাবুবুর রহমানের আপন ভাই বাকীবিল্লাহ শেখের বসতবাড়ি হতে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ভিকটিম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ২২ ধারায় বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দী প্রদান করেছে।#